Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

চোর সন্দেহে ৩ দফা নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৬

ঢাবিতে এ কেমন নির্মমতা

ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাবিতে এ কেমন নির্মমতা

নির্যাতিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের মারধরে তোফাজ্জল হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চোর সন্দেহে তিন ধাপে তার ওপর চালানো হয় ভয়াবহ নির্যাতন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ঢাবি প্রশাসন জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। গঠন করেছে তদন্ত কমিটি, করেছে মামলা। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এমন নির্মমতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। 

তোফাজ্জল হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যে তার মা, বাবা ও বড় ভাই মারা যান। ছেড়ে যান প্রেমিকাও। সব মিলিয়ে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। ঘুরতেন রাস্তায় রাস্তায়। ক্ষুধার জ্বালা মেটাতেই তিনি হয়তো সেখানে গিয়েছিলেন। পিটিয়ে মারার আগে তোফাজ্জল হোসেনকে ভাত খেতে দেয় শিক্ষার্থীরা। তিনি বুঝতে পারেননি, এই খাওয়াই তার শেষ খাওয়া। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট খেলা চলাকালে ছয়টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। রাত ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে চোর সন্দেহে তাকে ধরে ফেলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে তাকে অতিথিকক্ষে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মারধর করেন কয়েকজন। এরপর হলের ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। পরে হলের এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে ফের মারধর করা হয়। সেখান থেকে আবার প্রধান ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে তৃতীয় দফায় মারধর করা হয়। নির্যাতনে শরীরের কোথাও কোথাও তার মাংস পর্যন্ত খুলে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারা যান তোফাজ্জল।

গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা হলেন-ছাত্রলীগের হল শাখার উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিন সাকিন। গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, তোফাজ্জলকে আঘাত করার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় এদের গ্রেফতার করা হয়।

মোবাইল ফোন হারানো এক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে জানান, দুপুরে আমাদের ছয়জনের মোবাইল খেলার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায়। এরপর আমরা শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। রাতে তোফাজ্জল নামের একজন ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে আটক করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাকে কিছু শিক্ষার্থী মারধর করে। এরপর হাউজ টিউটর ও প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তোফাজ্জল হেঁটে গাড়িতে ওঠেন। 

গ্রেফতার হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেন জালাল আহমেদ। তিনি কিছু করেননি দাবি করে বলেন, আমাকে হলের হাউজ টিউটররা সেখানে গিয়ে দেখতে বলেন কী হচ্ছে। তবে কাউকে মারধর করিনি। বরং একজন জুনিয়র স্টাম্প দিয়ে মারধর করতে গেলে তাকে থামানোর চেষ্টা করি।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মারধরের ঘটনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা জড়িয়েছেন। 

এদের মধ্যে কারও ভূমিকা ছিল আক্রমণাত্মক আবার কারও ছিল রক্ষণশীল। তাদের অভিযোগ তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী। 

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মারধরে জড়িত ছিলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন উপসম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আল হোসাইন সাজ্জাদ। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সাজ্জাদ তোফাজ্জলের আঙুলের মাঝে স্টাম্প রেখে তার ওপর শরীরের ভর দিয়ে দাঁড়ায়। এসব অভিযোগের পক্ষে যুগান্তরের হাতে বেশ কয়েকটি ভিডিও এসেছে। 

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্টরুমে গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন প্রথম বর্ষ-দ্বিতীয় বর্ষের অনেক ছেলে ছিলেন। গেস্টরুমে তাকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পর ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি চোরকে এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি ওখানে গিয়ে দেখি ’২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ’২০-২১ আর ’২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি মেরেছে। পরে সেখান থেকে তাকে মেইন বিল্ডংয়ের গেস্টরুমে আনা হলে আবারও তাকে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই মিলে মারধর করে। 

ঢাবির মামলা : শাহবাগ থানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করেন। পরে তাকে প্রথমে হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে তিনি মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুসি মারে। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ানো হয়। পরে হলের গেস্টরুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্টাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানানো হলে তারা সহায়তা করে অচেতন যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি : বিষয়টি তদন্তের জন্য ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, অধ্যাপক ড. শেখ জহির রায়হান, মো. মাহাবুব আলম, ড. আছিব আহমেদ আবাসিক শিক্ষক, সহকারী আবাসিক শিক্ষক ড. এমএম তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর (বিজ্ঞান অনুষদ) এ. কে. এম. নূর আলম সিদ্দিকী। প্রথমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় সেই সময় আজ (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, কেউ চুরি করতে এলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার কারও নেই। আমরা সিসিটিভি ও অন্যান্য ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। 

তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চারজনকে থানায় পাঠিয়েছি। তদন্ত কমিটির কাছে আরও তথ্য আসছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তাই তাদের সময়টা বৃদ্ধি করে কালকে (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত করা হয়েছে। 

ঢাবি প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ : চোর সন্দেহে যুবক হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে সুবিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

সব মহলকে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

পুলিশের সংবাদ সম্মেলন : মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, নিহতের সুরতহাল এবং পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। লাশ তার আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের কাছে ৬ জনকে হস্তান্তর করেছে। তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

বিস্তারিত তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। 

সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশকেও দায়ী করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য কী? এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, কারা ঘটিয়েছে এবং কী কারণে ঘটিয়েছে সেটি তদন্তের বিষয়। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে ডিবির টিমও কাজ করছে। 

ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত সিন্ডিকেটের জরুরি সভা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এ সভায় সিন্ডিকেটের ১৭ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন অংশ নেন। পরে এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যে ৯ দফা দাবি দিয়েছিলেন, সেগুলোর একটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি বন্ধ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বুধবার চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন দল, সংগঠন ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। এই প্রেক্ষাপটে সিন্ডিকেটের ওই জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম