বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় যুগান্তর ভবনের ৫ম তলায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কুরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। তেলাওয়াতের পর মরহুমের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রয়াত নুরুল ইসলামের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এরপর সূচনা বক্তব্য দেন যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম। তিনি বলেন, আজ আমাদের শোকের দিন, বেদনার দিন। তবে এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। আজ আমাদের সাহসী হয়ে উঠার দিন। নুরুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন মানুষ। তিনি সবসময় নিপীড়িত মানুষের পেছনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস। আজকের এই দিনে আমরা তার মাগফিরাত কামনা করি, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
যুগান্তর সম্পাদক আরও বলেন, প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী আমাদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি ও সুযোগ্য সন্তানরা যমুনা গ্রুপকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সহযোগী হিসেবে আমাদেরও কাজ হলো- তার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আজকের দিনে সেটাই হোক আমাদের সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার।
এরপর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন যুগান্তরের উপসম্পাদক বি এম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের রেখে যাওয়া আমানত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনকে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমাদের মূল কাজ। উনি বেঁচে থাকলে যেভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, আমাদেরও সেভাবে করতে হবে। নুরুল ইসলাম যমুনা টিভিকে নাম্বার ওয়ান টিভি চ্যানেল করার কথা বলেছিলেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে তার রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারব। সেটা করতে পারলেই আমরা যে উনাকে ভালোবাসি তা প্রমাণ হবে।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা নুরুল ইসলামের রেখে যাওয়া আদর্শ অনুযায়ী তার প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পারি।তাহলেই উনাকে স্মরণ করা বা ভালোবাসা স্বার্থক হবে। আর না করতে পারলে এই মৃত্যুবার্ষিকী পালন হবে লোক দেখানো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, উপ সম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল হক ও আসিফ রশীদ, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, যমুনা টিভির সিএনই তৌহিদুল ইসলাম, যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক।
যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিমের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জোহায়ের বিন কলিম ও কে এম আজিজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, মুজিব মাসুদ ও মাহবুব আলম লাবলু, বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র জিএম আবুল খায়ের চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক মাহবুব কামাল, স্পোর্টস ইনচার্জ পারভেজ আলম চৌধুরী, মফস্বল ইনচার্জ নাঈমুল করিম, অনলাইন ইনচার্জ আতাউর রহমান, ফিচার ইনচার্জ সেলিম কামাল, প্রশাসন বিভাগের প্রধান আবুয়াল হোসেন সবুজ, সার্কুলেশন ম্যানেজার আবুল হাসান ও নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
যুগান্তরের হিসাব বিভাগের প্রধান সাইফুল ইসলাম ও প্রেস ম্যানেজার নাজমুল হোসেন স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা শহীদুল ইসলাম এবং দোয়া পরিচালনা করেন যুগান্তরের সহ সম্পাদক হাফেজ তানজিল আমির।
এর আগে সকালে বনানীতে প্রয়াত নুরুল ইসলামের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুগান্তর পরিবার। পরে বেলা ১১ টায় যুগান্তর কার্যালয়ে প্রয়াত নুরুল ইসলামের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও সংক্ষিপ্ত দোয়া ও মোনাজাত করেন যুগান্তর কর্মীরা।
২০২০ সালের এই দিনে চিরবিদায় নেন নুরুল ইসলাম।