জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, অশোক রায় নন্দী ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। নাটকের মাধ্যমে তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মূল্যবোধকে উপলব্ধি করতে চেয়েছেন এবং তাকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের আয়োজনে নাট্যজন অশোক রায় নন্দীর প্রয়াণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাটকে নিবেদিত মানুষ ছিলেন অশোক রায় নন্দী। নাটকের পাশাপাশি দেশের প্রকাশনা শিল্পেও তিনি ছিলেন সর্বজন সমাদৃত ব্যক্তি। নাট্যাঙ্গন ও প্রকাশনা শিল্পের মানুষদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে ৩ মে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন শিল্পের সমঝদার অশোক রায় নন্দী। তার প্রয়াণে আলোচনা, স্মৃতিচারণ এবং জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে তাকে স্মরণ করলেন নাট্যাঙ্গনের সহযোদ্ধারা।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর ছোট ভাই সুজিত রায় নন্দী, নাট্যাভিনেতা ও নির্দেশক আতাউর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, অশোক রায় নন্দী নাটকে নিবেদিত একজন খাঁটি মানুষ ছিলেন। দেশপ্রেমে ও মানবপ্রেমেও তিনি একজন খাঁটি মানুষ ছিলেন। নাটক আর প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত থেকে অনেক সৃজনশীল কাজ করে গেলেও অশোক রায় নন্দী আজীবন নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ একজন মানুষ। সরলতা ও সৃজনশীলতার কারণে নাটকের মানুষদের মাঝে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।