স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শোক
সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক লাবণ্য আহমেদের ইন্তেকাল
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা লাবণ্য আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
লাবণ্য আহমেদ পেশাগত জীবনে একজন দায়িত্বশীল, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম এবং তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে সুপরিচিত ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার পাশাপাশি তার মার্জিত আচরণ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সবার স্নেহ-ভালোবাসা-শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সহকারী পরিচালক হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগদানের পর থেকে সুদীর্ঘ সময়ে সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তিনি।
লাবণ্য আহমেদ শহীদ পরিবারের সন্তান। তার আপন বড় মামা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এবং মেজ মামা শহীদ জহির রায়হান। তার বাবা নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক এবং ১৯৭২ সালে দায়েরকৃত বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদী। মা শাহেনশা বেগম ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নিবেদিত সদস্য।
মৃত্যুকালে ৩ ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন লাবণ্য।
লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ অন্যান্য হুইপরা।
শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান, মানবসম্পদ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবা পান্না এবং অতিরিক্ত সচিব এমএ কামাল বিল্লাহসহ সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আরও শোক জানিয়েছেন এফএন্ডপিআর অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন এবং গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. তারিক মাহমুদসহ গণসংযোগ পরিবারের সব সদস্যরা।