জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ডা. প্রদীপ কুমারের প্রোট্রেট স্থাপন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০১ পিএম
আধুনিক জীবনযাত্রা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ও সময়ের অভাবই মানুষের শরীরে ডেকে আনে নানা রোগব্যাধী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, সাধারণ মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে, ততই অসুখ কামড় বসাচ্ছে শরীরে। ওবেটিসি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। আর সেই সব রোগের হাত ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। হার্টের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছে মানুষ।
হাসপাতালটিতে বছরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক সার্জারি করা হয়। শনিবার হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের ইউনিট প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারকে সম্মাননা জানানো হয়েছে তার ছবি প্রোট্রেট বানিয়ে। তারই করা সার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সুই, শিথ, ক্যাথিটার, তার, বেলুন, রিং, পেসমেকার, হার্টের ধমনীতে শক্ত ক্যালসিয়াম ভাঙার ড্রিল মেশিন, আইভাস ও ওসিটি ক্যাথেটারসহ ক্যাথল্যাবে ব্যবহার করা বর্জ্য দিয়ে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের প্রোট্রেট ছবিটি হাসপাতালের ২০১নং রুমে স্থাপন করা হয়েছে; যা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন প্রোট্রেটটির মোড়ক উন্মোচন করেন। ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের সার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে তার ছবি প্রোট্রেট করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি শুভ কামনা জানান।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শুধুমাত্র কার্ডিওলজি বিভাগে প্রতিবছর প্রায় অর্ধলাখ রোগীর সার্জারি করা হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালটিতে হার্টের সমস্যা নিয়ে আসা প্রায় ৩ শতাধিক রোগীকে ভর্তি করানো হয়। গত কয়েকদিন আগে সোলায়মান নামক এক রোগী ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালটিতে। ওই রোগীকে দ্রুত অপারেশন করে হার্টে রিং পরানো হয়। মাত্র দুদিনেই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। রোগী সোলায়মানকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়- তখন তার পালস ও ব্লাড প্রেসার কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে নিডল, ভাস্কুলার এক্সেস সিট, ক্যাথিটার দিয়ে করোনারি এনজিওগ্রাম করা হয়। ওই সময় তার মূল ধমনী শতভাগ ব্লক পাওয়া যায়। পরে ক্যাথেটার গাইড ওয়্যার, বেলুন দিয়ে ব্লক কমানো হয়।
বিভাগের একাধিক চিকিৎসক জানান, এ বিভাগের ইউনিট প্রধান ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের সরাসরি নেতৃত্বে প্রতিদিন ভর্তিকৃত রোগীদের সার্জারি করা হয়।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কার্ডিওলজি বিভাগের ইউনিট প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার যুগান্তরকে বলেন, শুধু কার্ডিওলজি বিভাগেই নয়-হাসপাতালটির বিভিন্ন বিভাগে প্রতিদিন হার্টের সমস্যা নিয়ে শত শত রোগী আসছে। শুধু কার্ডিওলজি বিভাগে প্রতিবছর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সার্জারি করা হয়। হার্টে রিং বসানোসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়।