দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার আদালতে গেলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে একাধিকবার তাকে তলব করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।
অবশেষে মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত হন নেতানিয়াহু। সে সময় আদালতের বাইরে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দেখা যায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আদালতে কথা বলব। আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। এই দিনটির জন্য আমি আট বছর অপেক্ষা করেছি। আমার বিরুদ্ধে এই অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো ভেঙে ফেলার চেষ্টা করব আমি।’
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো ২০১৯ সালে দায়ের করা হয়। মামলাগুলো হলো কেস ১০০০, কেস ২০০০ এবং কেস ৪০০০। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ঘুস, প্রতারণা এবং আস্থার লঙ্ঘন। নেতানিয়াহু সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও মিডিয়ার দ্বারা পরিচালিত একটি ষড়যন্ত্র। কেস ১০০০ (গিফটস অ্যাফেয়ার) মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আস্থার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারা দুই ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিলাসবহুল উপহার গ্রহণ করেছেন। এই ব্যবসায়ীরা হলেন হলিউড প্রযোজক আর্নন মিলচান এবং অস্ট্রেলিয়ান বিলিয়নিয়ার জেমস প্যাকার। উপহারগুলোর মধ্যে শ্যাম্পেন ও সিগার অন্তর্ভুক্ত। কেস ২০০০ (মিডিয়া চুক্তি) এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে নেতানিয়াহু ইসরাইলের সংবাদপত্র ‘ইডিয়থ আহরনথের’ মালিক অ্যারন মোজেসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন।
এতে নেতানিয়াহুকে অনুকূল সংবাদ কাভারেজ দেওয়ার বিনিময়ে প্রতিদ্ব›দ্বী পত্রিকা ইসরাইলের হায়োমের প্রচার সীমিত করার জন্য আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা ছিল। কেস ৪০০০ (টেলিকম দুর্নীতি) এই মামলায় বলা হয়েছে যে নেতানিয়াহু টেলিকম কোম্পানি বেজেককে নিয়ন্ত্রক সুবিধা দিয়েছেন। বিনিময়ে, বেজেকের মালিক শাওল এলোভিচ নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রীর পক্ষে অনুকূল সংবাদ প্রচার করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সুবিধাগুলো বেজেকের জন্য বিপুল আর্থিক মুনাফা নিশ্চিত করেছিল। এই মামলাগুলো নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।