Logo
Logo
×

মধ্যপ্রাচ্য

কেফিয়াহ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান ভারতীয় লেখিকার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম

কেফিয়াহ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান ভারতীয় লেখিকার

নীলাঞ্জনা সুদেশনা লাহিড়ী, যিনি বিশ্বব্যাপী স্যাহিত্যপ্রেমীদের নিকট ঝুম্পা লাহিড়ী নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই ভারতীয়-বাঙালি বংশোদ্ভূত লেখিকা পুলিৎজার পুরস্কার, হেমিংওয়ে পুরস্কার, ফ্রাংক ও'কনর আন্তর্জাতিক ছোটগল্প পুরস্কার পেয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি ফিলিস্তিনির পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন।  

এবার ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ নিয়ে একটি ঘটনার জের ধরে নিউইয়র্কের ইসামু নোগুচি মিউজিয়ামের দেওয়া সম্মানজনক পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন ঝুম্পা লাহিড়ী। আগামী মাসেই এই পুরস্কার গ্রহণ করার কথা ছিল তার।  খবর আল জাজিরার।

জানা গেছে, সম্প্রতি ‘ড্রেস কোড’ নীতিমালা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নিউ ইয়র্কের ৪০ বছরের পুরনো নোগুচি মিউজিয়াম। প্রতিষ্ঠানটির তিনজন কর্মী ফিলিস্তিনি সংস্কৃতির অতি পরিচিত কেফিয়াহ পরেছিলেন।  

কেফিয়াহ হলো একটি কালো ও সাদা সুতির স্কার্ফ। ফিলিস্তিনি জনগণ তথা বিশ্বের অনেক মানুষের কাছে এর আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু কেফিয়াহ পরার কারণে সেই তিন কর্মীকে বরখাস্ত করে নোগুচি মিউজ়িয়াম কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ‘ইসামু নোগুচি ২০২৪’ পুরস্কার প্রত্যাখান করছেন পুলিৎজার জয়ী ঝুম্পা।  

গত মাসে শিল্পী ইসামু নোগুচির প্রতিষ্ঠিত এই সংগ্রহশালা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করে, কোনও রকম রাজনৈতিক বার্তা, স্লোগান অথবা প্রতীক বহনকারী পোশাক পরে কাজে আসা যাবে না।  এই ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যে সাদা-কালো কেফিয়াহ স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে মিউজিয়ামে আসেন তিন কর্মী। এই কেফিয়াহ ফিলিস্তিনি সংহতির প্রতীক হিসাবে পরিচিত বলে দাবি করা হয়েছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে।

এ দিকে ঝুম্পার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। 

এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা তার (ঝুম্পার) দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করি। আমাদের পোশাকবিধি নীতি যে সকলের মতাদর্শের সঙ্গে মিলবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা আমাদের মূল্যবোধের পথ ধরেই ইসামু নোগুচির শিল্পকে বোঝার এবং বোঝানোর মূল লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।’

জাদুঘরের মতো জায়গায় নির্দিষ্ট করে ‘ড্রেস কোড’ চাপিয়ে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নোগুচি মিউজিয়ামের অনেক কর্মী। এই ড্রেস কোডের বিরোধিতা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীদের স্বাক্ষর নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম