জাতীয় সংগীত ইস্যুতে এবার আফগান দূতকে তলব করল ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
তেহরানে একটি সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীত চলাকালীন দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে অস্বীকৃতি জানান আফগান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এ নিয়ে কথার যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ। তবে ওই ঘটনায় এবার তেহরানে নিযুক্ত আফগান দূতাবাসের তত্ত্বাবধায়ককে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক ইসলামী ঐক্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের জাতীয় সংগীত চলাকালে বসে থাকেন আফগানিস্তানের তালেবান হজ ও ওয়াক্ফ বিষয়ক উপমন্ত্রী আজিজোররহমান মনসুর। এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সম্মেলনে আফগান প্রতিনিধির অপ্রচলিত ও অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপের কথা আফগান তত্ত্বাবধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বিভাগের মহাপরিচালক। এছাড়া কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করায় নিন্দা জানায় তেহরান।
তেহরান জানিয়েছে, অতিথিদের অবশ্যই আয়োজকদের সম্মান করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আচরণ হিসাবে দেশের জাতীয় সঙ্গীতের জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার এই বিষয়ে ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, জাতীয় সংগীত চলার সময় না দাঁড়ানোর জন্য ইরান কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেন তালেবান কূটনীতিক আজিজোররহমান মনসুর।
এছাড়া সামাজিকমাধ্যম এক্সে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মনসুর বলেছেন, ‘আমাদের জন্মভূমিতে গানটি বাজলে আমরা বসে থাকি এবং আমি সেই রীতিটিই অনুসরণ করেছি।’
অন্যদিকে আফগানিস্তানের জন্য ইরানের বিশেষ প্রতিনিধি হাসান কাজেমি কওমি তালেবান কর্মকর্তা মনসুরের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি ‘কূটনৈতিক নীতির অসম্মান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘সংগীতের ওপর শরিয়াভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে কূটনৈতিক নীতিকে অসম্মান করার কোনো ভিত্তি বা বৈধতা নেই।’
এর আগে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত বাজার সময় দাঁড়িয়ে সম্মান জানাননি আফগান কনসাল জেনারেল হাফিজ মহিবুল্লাহ সাকির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই দাঁড়ালেও আফগান কনসাল জেনারেল ও তার সহযোগী বসে থাকেন। পরবর্তীতে আফগান কনস্যুলের মুখপাত্র জানান, তাদের কনসাল জেনারেল পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতকে অসম্মান করেননি। মূলত এতে বাজনা থাকায় তিনি দাঁড়াননি।
তালেবান সংগীতকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে মনে করে। গোষ্ঠীটির মতে, সংগীত এমন একটি বিষয় যা মানুষের ধর্ম এবং জীবনকে ধ্বংস করে ফেলে।