হিজবুল্লাহর শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংসের দাবি ইসরাইলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও রেডিও বিস্ফোরণের পর লেবাননে আরো হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালন্টের দাবি, এই হামলায় হিজবুল্লাহর শত শত রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে। ওই লঞ্চারগুলো ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে গুলি চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। খবর এনডিটিভির।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ইসরাইলের যুদ্ধবিমান ১ হাজার ব্যারেল সমন্বিত প্রায় ১০০টি রকেট লঞ্চারে আঘাত করেছে।
এতে আরো বলা হয়, ইসরাইল রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর অবকাঠামো এবং সক্ষমতা হ্রাস করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে আইডিএফ।
এদিকে বৃহস্পতিবার লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো জেজিন এলাকার মাহমৌদিয়া, কাসার আল-আরুশ এবং বিরকেট জাব্বুর শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
আর লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে কয়েক ডজন বোমা ফেলেছে ইসরাইল। গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময়ের সময় থেকে এটি সবচেয়ে তীব্র বোমা হামলা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক বক্তৃতায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, পেজার এবং ওয়াকিটকি আক্রমণের মধ্য দিয়ে ‘সমস্ত রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে ইসরাইল। হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে উত্তর ইসরাইলের সে সব বাসিন্দা বাস্ত্যচুত হয়েছে, তারা আর ঘরে ফিরতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পাল্টা জবাবে আইডিএফ বলেছে, যেসব বাসিন্দা বাস্ত্যুচুত হয়েছেন তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে সামরিক হামলা বাড়াবে তারা।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি ইসরাইল ও লেবাননের উত্তেজনা প্রশমনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। আর চলমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আরও উত্তেজনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বুধবার, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া কয়েক হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে।