নেপথ্যে মোসাদ, তাইওয়ান থেকে কেনা পেজারে যেভাবে বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম

লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র ‘পেজার’-এ বিস্ফোরক দ্রব্য স্থাপন করেছিল ইসরাইল। এতে ৫ হাজার পেজারের মধ্যে প্রায় ৩ হাজারই বিস্ফোরিত হয়।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এসব যন্ত্র তাইওয়ান থেকে আমদানি করেছিল হিজবুল্লাহ। আর কয়েক মাস আগে ওই যন্ত্রগুলোতে বিস্ফোরক উপাদান লুকিয়ে রেখেছিল ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সূত্র দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলো নামে এক কোম্পানি থেকে পেজার আমদানি করে। কিছু কর্মকর্তার মতে, এসব যন্ত্র লেবাননে পৌঁছানোর আগে গড়মিল করে দেওয়া হয়। পেজারগুলোর বেশির ভাগই ছিল কোম্পানির এপি৯২৪ মডেলের। তবে গোল্ড অ্যাপোলোর আরও তিনটি মডেলের পেজারও ওই চালানে ছিল।
দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, প্রতিটি পেজারে ব্যাটারির পাশে এক থেকে দুই আউন্সের মতো বিস্ফোরক উপাদান স্থাপন করা হয়েছিল। একটি সুইচও যুক্ত করা ছিল, যা দূর থেকে বিস্ফোরণের জন্য ট্রিগার করা যেতে পারে।
অন্য দুই কর্মকর্তা বলেন, লেবাননে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে পেজারগুলোয় একটি বার্তা আসে। যা দেখে মনে হচ্ছিল, বার্তাটি হিজবুল্লাহর নেতার কাছ থেকে এসেছে। আসলে ওই বার্তা ছিল হিজবুল্লাহকে ঘায়েল করার। ওই বার্তার মাধ্যমে বিস্ফোরকগুলো মূলত সক্রিয় হয়ে উঠে।
তিনজন কর্মকর্তার মতে, বিস্ফোরণের আগে কয়েক সেকেন্ডের জন্য যন্ত্রগুলোয় যেন সংকেত (বিপ) বেজে ওঠে, সে রকম করে তা ঠিক করা হয়েছিল।
হিজবুল্লাহর নিরাপত্তাব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে গতকালের বিস্ফোরণ। তবে এখন পর্যন্ত ইসরাইল হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর পেছনে নিজেদের দায়ও স্বীকার করেনি তারা। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা ছাড়াও আছেন লেবাননে নিয়োজিত ইরানের রাষ্ট্রদূতও।