Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল

ক্যাথল্যাবের বর্জ্য দিয়ে চিকিৎসকের পোর্ট্রেট

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ক্যাথল্যাবের বর্জ্য দিয়ে চিকিৎসকের পোর্ট্রেট

ছবি: যুগান্তর

ক্যাথল্যাবে (কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন) সার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিজের পোট্রেট (প্রতিকৃতি) বানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটউ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার।

এতে ব্যবহার করা হয়েছে অপারেশন থিয়েটারের সুই, শিথ, ক্যাথিটার, তার, বেলুন, রিং, পেসমেকার, হার্টের ধমনীতে শক্ত ক্যালসিয়াম ভাঙার ড্রিল মেশিন, আইভাস ও ওসিটি ক্যাথেটারসহ নানা ধরনের বর্জ্য। শনিবার হাসপাতালটির ২০১নং কক্ষে স্থাপিত এই প্রতিকৃতির মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

চিত্রকর্মটির বিষয়ে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার যুগান্তরকে বলেন, ক্যাথল্যাবের বর্জ্যগুলো সাধারণত হাসপাতালের ডাস্টবিনে চলে যায়। আমি দীর্ঘদিন এগুলো জমিয়ে আমার নিজের একটা প্রতিকৃতি বানিয়েছি।

এর মাধ্যমে বার্তা দিতে চেয়েছি, মানুষের হৃদয়ের চিকিৎসার বিষয়টি আমরা হৃদয়ে ধারণ করি। এজন্য হৃদরোগের চিকিৎসায় যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে কাজটি করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই, হৃদরোগের চিকিৎসা আছে, আমরা আপনাদের জন্য আছি। রোগ নিয়ে বসে না থেকে আমাদের কাছে আসুন, চিকিৎসা নিন, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরুন।

অনুষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, জটিল অপারেশন করে সুনাম অর্জন করা একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক হিসেবে ডা. প্রদীপ কুমারকে এতদিন আমরা চিনতাম। আজ আমরা ওনার আরেকটি বিশেষ গুণের বিষয়ে অবহিত হয়েছি, যা আমাকে খুবই অবাক করেছে। এই ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে একজন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টের প্রোট্রেট পৃথিবীতে কেউ করেছে বলে আমাদের জানা নেই। ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সঙ্গে তুলনামূলক কম খরচে এই অপারেশন করে আসছেন।

তিনি বাংলাদেশে এই অপারেশনের পথিকৃৎ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর টিএভিআর সফলভাবে অপারেশন করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো বুক না কেটে হার্টে ট্রান্স ক্যাথেটার অ্যাওর্টিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে পুরোনো অ্যাওর্টিক ভালভের ভেতর নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করে নতুন করে আবারও আলোচনায় আসেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম