Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রজতজয়ন্তী পেরিয়ে ২৬-এ পদার্পণ

উচ্ছ্বাস ভালোবাসায় সিক্ত যুগান্তর

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উচ্ছ্বাস ভালোবাসায় সিক্ত যুগান্তর

যমুনা ফিউচার পার্কের মহল কনভেনশন হলে শনিবার যুগান্তরের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও ফারুক-ই-আজম, বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান ও রুহুল কবির রিজভী, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম ও শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, ইউজিসি চেয়্যারম্যান ড. এসএমএ ফায়েজ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ মোস্তফা জামাল হায়দার, সাইফুল হক ও রাশেদ খানসহ অতিথিরা -যুগান্তর

যুগান্তর। দেশের মানুষের সীমাহীন প্রত্যাশা ও ভালোবাসায় মুড়িয়ে থাকা একটি নাম। ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’- এ স্লোগানকে ধারণ করে ২৫ বছরের কঠিন ও দুর্গম পথ পেরিয়ে ২৬-এ পদার্পণ করল। শনিবার রজতজয়ন্তী উৎসবে উচ্ছ্বাস ও সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে যুগান্তর। আগামী দিনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দৃঢ়প্রত্যয় উচ্চারিত হয় অনুষ্ঠানে। বলা হয়-সত্য, ন্যায় ও সম্ভাবনার পথে দেশ ও জনগণের পক্ষে সাহসী অবস্থানে অবিচল থাকবে। নির্যাতিত, নিপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকবে। পত্রিকাটির স্বপ্নদ্রষ্টা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের দেখানো পথে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একচুলও ছাড় দেবে না। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এবারের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি দেশের ওপর চেপে বসা দানবীয় স্বৈরশাসকের হাত থেকে দেশ ও গণতন্ত্রের মুক্তি অর্জনে দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে যুগান্তর। মাতৃভাষার মাস মহান ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমন ধ্বনিই উচ্চারিত হলো সবার কণ্ঠে। 

এদিন দুপুরে যমুনা ফিউচার পার্কের কনভেনশন সেন্টারে কেক কাটেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক-সোনিয়া সারিয়াত, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম এবং শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যরা। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মঈন খান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শুরু থেকেই যুগান্তর সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আশা করি আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পাশে ছিল যুগান্তর। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা যুগান্তরকে নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে পাই। সালমা ইসলাম বলেন, সত্য কথা বলার নিরন্তর সাহসের নাম যুগান্তর, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই ধর্ম। যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের নীতি, আদর্শ এবং রেখে যাওয়া দিকনির্দেশনায় চলবে এই প্রতিষ্ঠান। আবদুল হাই শিকদার বলেন, নতুন পানিতে সফর, আগামী যুগান্তরের যাত্রা হবে আরও বেগবান ও প্রাণবন্ত। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় যুগান্তরের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করব। আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আগামী দিনেও নির্ভয়ে সাহসের সঙ্গে, দুর্নীতি-অত্যাচারের বিরুদ্ধে, সত্য বলার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাবে যুগান্তর। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-যুগান্তরের উপসম্পাদক এহসানুল হক বাবু, আহমেদ দীপু, বিএম জাহাঙ্গীর ও দেওয়ান আসিফ রশীদ, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, নগর সম্পাদক মিজান মালিক, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম এবং যুগান্তর পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া শনিবার সারা দেশে যুগান্তরের ব্যুরো অফিসে কেক কেটে এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। অনুষ্ঠানে যুগান্তরের পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী, বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিক্রয় প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে দৈনিক যুগান্তর। খুব অল্প সময়ে পাঠকের মন জয় করে নেয় পত্রিকাটি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ফলে দেশের সংবাদপত্রে শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় নিতে হয়নি। আর এখনো এ অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে এ দীর্ঘপথ কখনোই মসৃণ ছিল না। সত্য ও সাহসী সংবাদ প্রকাশের কারণে বিভিন্ন সময়ে মামলা-হামলাসহ প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু পাঠকের ভালোবাসায় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে চলেছে অবিরাম গতিতে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও সব বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে চলার দৃঢ়প্রত্যয় ছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যুগান্তর পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও আমি উপস্থিত ছিলাম। ইতোমধ্যে পত্রিকার ২৫ বছর পার হয়েছে। এটি বিশাল অর্জন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই যুগান্তর সাহসী ভূমিকা রেখেছে। এখানে আমি লেখালেখি করি। তিনি বলেন, যমুনা গ্রুপের আরেকটি মিডিয়া যমুনা টিভিতে আগে প্রায়ই টকশোতে আসতাম। তবে ওই সময়ে আমাকে কম ডাকা হতো। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলত, প্রতিদিনই তাদের দেখতে হয় কে কোন লিস্টে আছে। সেসব বিবেচনা করে টকশোতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন মজা করে জানতে চাইতাম আমাকে কোন লিস্টে রাখা হয়েছে, ব্ল্যাক না রেড? তারা বলত আপনাকে ‘গ্রে’ লিস্টে রাখা হয়েছে অর্থাৎ আপনি যে কোনো দিকে যেতে পারেন। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আশা করি, সামনের দিনগুলোতে যে বা যারা দেশ পরিচালনা করুক-সেখানে যেন মতপ্রকাশের সুযোগ থাকে। কাউকে যেন ব্ল্যাক লিস্ট, রেড লিস্টে ফেলে যেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা না হয়; সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। 

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৫ পেরিয়ে ২৬-এ পদার্পণ করল যুগান্তর। এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহিদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে। স্মরণ করছি জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের, যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। সুস্থতা কামনা করছি, গণ-অভ্যুত্থানে আহত সব ছাত্র-জনতার। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এই দিনে বারবার মনে পড়ছে, গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের কথা। তিনি ছিলেন যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা। দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ২৫ বছর আগে যুগান্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি নির্যাতিত-নিপীড়িত অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসাবে যুগান্তরকে গড়ে তুলেছিলেন। এটা করতে গিয়ে তাকে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। সত্য কথা বলার নিরন্তর সাহসের নাম যুগান্তর। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই যুগান্তরের ধর্ম। তিনি বলেন, যুগান্তর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই পত্রিকা ২৫ বছরের ইতিহাস, সত্য উচ্চারণের এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। যুগান্তরকে একটি বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী ও জনগণের মুখপত্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা সব সময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সালমা ইসলাম বলেন, গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই দুটি মিডিয়া ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়ে কঠিন সত্য প্রকাশ করেছে। অনেক বাধা-বিপত্তি, হুমকি-ধমকি দিয়ে যুগান্তর-যমুনা টিভিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ছাত্র-জনতার সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এ কারণে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ‘যমুনা টিভি ও যুগান্তর’ স্লোগানে মুখরিত করেছিল। এতে প্রমাণিত হয়, যুগান্তর ও যমুনা টিভি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। 

যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘হৃদয়ের একূল, ওকূল দুকূল ভেসে যায়।’ রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হচ্ছে- ‘আজি এ প্রভাতে রবির কর/কেমনে পশিল প্রাণের পর,/কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান!/না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।’ তিনি বলেন, আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে চোখ হাসে, মুখ হাসে, টগবগিয়ে খুন হাসে।’ তিনি আরও বলেন, সবার পরশে যুগান্তরের রজতজয়ন্তীর উৎসবটি পরিপূর্ণভাবে সফল ও সুন্দর হোক। ‘যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ’। আমরা ২৫ বছর পেছনে রেখে আজকে ২৬ বছরে পা রাখছি। তবে পেছনের পথটা সহজ ছিল না। তিনি আরও বলেন, সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে উদ্বেল, সত্যের সন্ধানে নির্ভীক-এই প্রত্যয় বুকে ধারণ করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো সৎ সাহস নিয়ে যুগান্তরের জন্ম দিয়েছিলেন এর স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। বর্তমানে যুগান্তরের বয়স বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক। তার মতে, যুগান্তরের পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ছিল কণ্টকাকীর্ণ। ছিল নানা চড়াই-উতরাই। কত বাধা, কত সমুদ্র-পর্বত। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে যুগান্তর আপসহীন ভূমিকা পালন করেছে। আবদুল হাই শিকদার বলেন, কোনো রক্তচক্ষুকে যুগান্তর কখনো পরোয়া করেনি। কারণ যুগান্তরের কাছে সবার ওপরে দেশ, দেশের জনগণের স্বার্থ, যা কিছু দেশের জন্য, জাতির জন্য ক্ষতিকর, অকল্যাণকর, তার বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে যুগান্তর সব সময়ই সোচ্চার ছিল। শপথ- ‘অসত্যের কাছে কভু নত নহে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’ কারণ যুগান্তরের কাছে সবার আগে দেশ সত্য, তাহার উপরে নাই। যুগান্তরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং জুলাই জাগরণের আকাঙ্ক্ষা। এই লক্ষ্য থেকে যুগান্তর কখনো কোনোদিন সরে যাবে না। যুগান্তরের আগামী দিনের যাত্রাকে ‘নতুন পানিতে সফর এবার’ হিসাবে উল্লেখ করে সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, নতুন পানিতে যে সফর আজ থেকে যুগান্তরের শুরু হলো, সেই সফর অতীতের চেয়ে আরও বেগবান, আরও প্রাণবন্ত, আরও ধারালো এবং আরও গতিশীল হবে। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ মনে পড়ে নুরুল ইসলাম বাবুল সাহেবের কথা। এই মানুষটি সারা জীবন পরিশ্রম করে একদিকে অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়েছেন, অন্যদিকে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যুগান্তরের রজতজয়ন্তীতে যুগান্তরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এজন্য যে, সবচেয়ে কঠিন সময়ে ফ্যাসিবাদ যে কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, সেই সময়ে যুগান্তর সাহস করে অনেক কথা বলেছে। কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমি বিশ্বাস করি যুগান্তর তার যে চরিত্র, সেটা অক্ষুণ্ন রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করে গণতন্ত্রের জন্য। ’২৪-এ প্রাণ দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং কথা বলার অধিকারের জন্য। আমি বিশ্বাস করি যুগান্তর তার সেই ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে। যে নতুন বাংলাদেশে নির্মিত হতে চলেছে, সেখানেও তার ভূমিকা রাখতে অবশ্যই সে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা যুগান্তরকে নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে পাই। দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির, জাতির যারা বিবেকবান, সুশীল সমাজ নামে পরিচিত, যারা এটা বলেন, সংবাদপত্র রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। আবার আধুনিক বিশ্বে এটাও আছে, গণমাধ্যম হচ্ছে সভ্যতার ব্যারোমিটার। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যারাই যখন শাসকের জায়গায় আসেন, মুক্ত গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে তারা কতটা শ্রদ্ধাশীল থাকেন সেই প্রশ্ন থেকে আমরা আজও কিন্তু মুক্ত নই। আমরা ফ্যাসিবাদী শাসকের আমলে দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটিয়েছি। একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা হিসাবে আমরা যুগান্তরকে কাছে পেয়েছি। ফ্যাসিবাদের বন্দনা, দোসরনীতি, সংবাদপত্রের হাউজগুলো মনে হচ্ছিল যে একটা ব্যক্তির শিল্পমালিকে পরিণত হয়েছিল। সেক্ষেত্রে চরম কঠিন সময় আমরা দেখেছি নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠ হিসাবে অনেকখানি যুগান্তর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের পাশে ছিল। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। রাজনীতি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে-এটা সত্যি কথা। কিন্তু তার সঙ্গে আরেকটি জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দুনিয়ার সবকিছু রাজনীতি দিয়ে বিচার করা যায় না, সঠিক হবে না। আমি আজকে অভিনন্দন জানাই যুগান্তরের রজতজয়ন্তীতে। আমি বিশ্বাস করি ২৫ বছর ধরে যুগান্তর যেভাবে সত্য প্রকাশ করে এ দেশের মানুষকে আলোকিত করেছে, ভবিষ্যতেও ঠিক একইভাবে তারা তাদের সত্য প্রকাশে আপসহীন থাকবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বস্তুতপক্ষে মিডিয়ার ভূমিকা বলতে যেটা বোঝায়, বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে যেটা আমরা অনেকটা ভুলে যেতে চলেছি। যে মিডিয়ার রোলটা কী হওয়া উচিত? এমন জনগণ কি প্রত্যাশা করে-সেই পরিবেশ বাংলাদেশে ছিল না। সুতরাং জনগণ মিডিয়ার সঙ্গে যে সম্পর্ক এবং মিডিয়ার জনগণের চিন্তার প্রতিফলন ঘটানো, সেটা অনেকটা বাংলাদেশে অনুপস্থিত। আশা করব আগামী দিনে মিডিয়া জনগণের মনের কথা ও প্রত্যাশা, সমস্যা তুলে ধরবে। যুগান্তর বিগত ১৫ বছরের কঠিন সময়ের মধ্যেও চেষ্টা করেছে। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় যুগান্তরের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করব। যুগান্তর মেধাবী সাংবাদিকতা করেছে। ওই সময়ে আমরা যারা ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় কাজ করেছি, যুগান্তর থেকে সংবাদ পেয়েছি। যুগান্তর প্রথমে নিউজটা করত। আমরা ওইটা নিয়ে আরও কতটা যুক্ত করে বিদেশে দেওয়া যায়, সেই রিপোর্টগুলো করতাম। শফিকুল আলম বলেন, ২৫ বছরে যুগান্তরের অর্জন, ইমেজ এবং একটা বড় বৈশিষ্ট্য ছিল-গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারের সময় যুগান্তর তার সক্রিয়তা, স্বাধীনতা অনেকাংশে ধরে রেখেছিল। যদিও এটা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল, কিন্তু তারা (যুগান্তর) এটা করেছে। আমরা মনে করি-বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে ভালো জার্নালিজমের কোনো তুলনা নেই। আমরা চাই যুগান্তর সেই ভালো সাংবাদিকতা চালিয়ে যাক। দেশকে আরও বেশি ব্রিলিয়ান্ট রিপোর্ট উপহার দিক। তিনি বলেন, সম্প্রতি পাশের দেশের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশকে টার্গেট করে প্রচুর রিপোর্ট করছে। আমাদের যারা জার্নালিজম করছেন তারা এটাকে লক্ষ্য করছেন না। আপনার চোখের সামনে আপনার দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারা এটা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে যে, এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এটা তারা প্রতিনিয়ত করে। আমাদের সার্বভৌমত্বের বিপরীতে ভয়ানক হুমকি। আমাদের সবারই এ বিষয়ে ভাবা উচিত। আশা করি যুগান্তর এ বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। 

যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ বলেন, আমার সৌভাগ্য, শুরু থেকেই যুগান্তরের সঙ্গে আমি ছিলাম। এখন যমুনা গ্রুপেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, এর প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম বলতেন, যুগান্তর এমন একটি পত্রিকা, যা সত্যের পক্ষে কথা বলবে। সাদাকে সাদা বলবে, কালোকে কালো বলবে। আমি বিশ্বাস করি-গত ২৫ বছর যুগান্তর সেই চেষ্টা নিরলসভাবে করে গেছে। তিনি আরও বলেন, যুগান্তরে আমার যেসব সহকর্মী কাজ করছেন, শুরু থেকেই যারা এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের অনেকেই এখনো আছেন। নতুন করে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। সবাই নিরলস চেষ্টা করছেন যুগান্তরকে জনমানুষের পত্রিকা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, যুগান্তর দেশের গণমানুষের কথা বলে। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানরা যে বসন্তের স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেটি চির বসন্তে পরিণত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে গত ফ্যাসিবাদের বিচার শুরু হয়েছে। রাজনীতিবিদ, জনগণ এবং দেশের গণমাধ্যম এই বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন জোগাতে হবে। তাদের বিচার না করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলে আবারও সেই দুঃসময় ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, বিচার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তবে এটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, যুগান্তরের স্লোগান সত্যের সন্ধানে নির্ভীক। আশা করি স্লোগানকে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, এই শুভক্ষণে যুগান্তর পরিবারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমকে সব সময় চ্যালেঞ্জের মুখে থাকতে হয়, তারা সত্যিকার গণমাধ্যম হয়ে থাকতে পারছে কি না? আমাদের দেশে গণমাধ্যমের বাধাগুলো আমরা জানি। সরকার, নানা রকম গোয়েন্দা সংস্থা কীভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পরে নতুন করে দেশে গণমাধ্যম যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে সত্যিকার গণমাধ্যম হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে ভাবতে হবে। 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের সময় আমি নিপীড়নের প্রতীকী চিত্র। আমি ৩ বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলাম। এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম হিসাবে যুগান্তর বাইরের জগতের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে আমরা যুগান্তরকে ব্যতিক্রম পেয়েছি। অধিকাংশ পত্রিকা তখন ফ্যাসিবাদের বন্দনা গাইত। সেজন্য আমাদের দুঃসময়ের সাথী যুগান্তরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুগান্তর কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে রয়েছে-

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় : প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। 

রাজনৈতিক অঙ্গন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নুরুল ইসলাম মনি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিএনপির ইমরানুল হক চাকলাদার, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, কৃষিবিদ ইউনুস আলী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল ও শরীফ প্রধান শুভ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, মাহফুজ উর রহমান লিপকন, রবিউল আওয়াল ভূঁইয়া রবি, ইমরান হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ইউসুফ আহমেদ ইরফান প্রমুখ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসেন, উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, বসুন্ধরা থানা আমির আবুল বাসার প্রমুখ। ইসলামী আন্দোলনের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, ১২ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, এবি পার্টির আলতাফ হোসাইন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফারুক হাসান এবং গণতন্ত্র মঞ্চের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন-ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মলিক, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি এএইচএম আব্দুর রকিব, বিজিবি ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সমন্বয়ক মেজর রইসুল আজমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল, পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আল আমিন হোসেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সিনিয়র সহকারী পরিচালক মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন দল এবং ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। 

আইন ও বিচার বিভাগ : জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মো. খসরুজ্জামান। 

শিক্ষা অঙ্গন : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান-অধ্যাপক এসএম ফায়েজ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আবদুল হান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এএসএম আমানুলাহ ও গাজীপুর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সোহেল আল বেরুনি।

সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রকাশক কাওসার আহমেদ অপু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোরছালিন বাবলা ও নির্বাহী সম্পাদক মশিউর রহমান টিপু, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মো. সিরাজুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মর্তুজা হায়দার লিটন। 

সাংস্কৃতিক অঙ্গন : সংগীতশিল্পী মৌসুমী চৌধুরী, পরান আহসান, আকলিমা মুক্ত, গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু, জাসাস নেতা এসএম রিপন, মিজানুর রহমান, খালেদ এনামুল মুন্না, শিল্পী পরশ অহসান, বাংলাদেশ চীন সংস্কৃতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ব্যাপারী ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। 

ফুটবল অঙ্গন : সাবেক ফুটবলার শেখ মো. আসলাম, কায়সার হামিদ, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু।

করপোরেট প্রতিষ্ঠান : বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ডিজিএম (পাবলিক রিলেশন্স) তৌহিদুজ্জামান, ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনের এসপিও মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, আবু নাসির মু. মুজাহিদ, ইন্টারকন্টিনেন্টালের পরিচালক (মার্কেটিং) সাদমান সালাহউদ্দিন, মেঘনা গ্রুপের জিএম (অডিট) সাজ্জাদ হোসাইন, ম্যানেজার (অডিট) নিজাম উদ্দিন, বিকাশের সহকারী ম্যানেজার (মিডিয়া) আদনান হোসাইন ভূঁইয়া, কনকর্ড গ্রুপের ডিজিএম (অ্যাডমিন) আবুল বাশার, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন, এবি ব্যাংকের এসপিও আরিকুল ইসলাম তারেক, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম রিন্টু, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের ডিজিএম (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া) মো. মেহেদী হাসান, রানার গ্রুপের চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মো. ওয়াহিদ মুরাদ, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন্স ইকরাম কবির, হেড অফ এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশন্স এম আব্দুর রহিম। 

সংবাদপত্র বিপণনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান : যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সংবাদপত্র বিপণনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যুগান্তর সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লি.র জিএম মোবারক হোসেন টুটুল, সুপারভাইজার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বলাকা-১ সেন্টারের আনোয়ার হোসেন সুমন, মগবাজার সেন্টারের খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, বসুন্ধরা সেন্টারের জসিম উদ্দিন এবং অফিস কর্মকর্তা শামসুর রহমান শামীম। সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন মো. নোমান, সহসভাপতি মো. জহির হোসেন সাগর, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, সমিতির পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্য নেতারা। এছাড়া আরও শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুবকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী ও সংবাদপত্র পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া, নিউ চাঁদনী পরিবহণের এমদাদুল হক ফরহাদ, মেহেদী হাসান, পদ্মা পরিবহণের মিন্টু সিপাই এবং শামীম পরিবহণের মো. শামীমসহ অন্য সদস্যরা।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম