‘প্রধানমন্ত্রীর পাশে কুচক্রী থাকলে বের করে দিন’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সরকার পরিবর্তন ও রাজনৈতিক আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসী করা হলো। এটা রাজনীতি নয়। এটা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড। মানুষ মেরে, হত্যা করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। কারফিউ জারিকে সমর্থন করে
তিনি বলেন, জনমনে উদ্বিগ্নতা কমানো ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দরকার ছিল সেনাবাহিনী।
এ সময় ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, আপনার আশপাশে যদি কোনো কুচক্রী থাকে, তাদের বের করে দিন। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্তৃক সাংবাদিকসহ মানুষ হত্যা ও দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, আইন সম্পাদক আসাদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন- কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের খুঁজে খুঁজে আক্রমণ করেছে। শতাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছে। চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।