ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার ‘হুমকি’: ডিএসইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০১ পিএম
একটি প্রতিবেদনের কারণে প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকে মধ্যরাতে তুলে নেওয়ার পর আদালতে হাজির ও জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানো এবং পত্রিকাটির সম্পাদক ও ওই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা দেওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইনমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে বার বার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে গ্রেফতার না করে অভিযোগ যাচাই করার জন্য নির্ধারিত সেলে পাঠানো হবে। অথচ এই ক্ষেত্রে তার বরখেলাপই কেবল করা হলো না, এ নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার আরেকটি উদাহরণ তৈরি হলো।’
প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে তার প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিলের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধান রয়েছে। সে পথ অনুসরণ না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এমন ব্যবহার, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে দেশি-বিদেশি মহলের অভিযোগকেই প্রকারান্তে বৈধতা দিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই আইনে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। শুধু তাই নয়, এটি সরকারের ভাবমূর্তিকেই শুধু ক্ষুণ্ন করছে না, বহির্বিশ্বের দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল আইন ব্যবহার বন্ধসহ সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার হরণ করে এমন ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।’
অবিলম্বে প্রথম আলোর সাংবাদিককে মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ থেকে শুরু করে ওইদিন কী ঘটেছিল তার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণকে জানাতে হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ডিএসইসি।