বাংলা একাডেমি পুরস্কার
গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলে পুরস্কার বাতিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
পুরস্কারের তালিকায় নাম থাকা কারও বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কার বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আজম।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক এ কথা বলেন। এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষণার পর নানা পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পুরো ব্যাপারটি আমলে নেওয়া হয়েছে। ঘোষিত তালিকাটি ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তালিকাটি পর্যালোচনা (রিভিউ) করা হচ্ছে। যে অভিযোগ সামনে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানত গত (জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে) গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যদি কারও সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, যদি এ ধরনের সরাসরি সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে নিশ্চয়ই (পুরস্কার) বাতিল করা হবে। তার পরিবর্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটা যে কমিটি কাজ করছে, সেই কমিটি দেখবে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলা একাডেমির সার্বিক পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে নানান পক্ষের কিছু অসন্তোষ আছে। অনেকদিন আগে আইন হয়েছে, বিধি হয়েছে, প্রবিধানমালা হয়েছে। সেগুলো আমাদের পুনঃনিরীক্ষার প্রয়োজন অনেকদিন ধরেই বোধ করছিলাম।
বাংলা একাডেমির বিষয়ে খুব শিগগির একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।
মোহাম্মদ আজম বলেন, ব্যস্ততার জন্য আমরা ঠিক করেছিলাম এগুলো মার্চ থেকে শুরু করবো। সেটা এখন আমরা একটু এগিয়ে এনে হয়তো খুব শিগগির একটা সংস্কার কমিটি গঠন করে, যেখানে মানুষের বুদ্ধিভিত্তিক ও সৃজনশীল কাজের যুক্ত বিভিন্ন পক্ষ যারা চিন্তা-ভাবনা করছেন বা এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের একটা অংশগ্রহণ থাকবে। কমিটিটা অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুরো ব্যাপারটা রিভিউ করতে চাইবো। কী কী ভাবে বাংলা একাডেমিকে নতুন চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করা যায়, আরও বেশি কর্মক্ষম করা যায়। শিগগির আমরা এ ধরনের একটি কমিটি করবো। আমরা কর্মপরিকল্পনা করছি, কাজ শুরু করছি, শিগগির আপনাদের জানাতে পারবো।