প্রতীকী ছবি
যৌবনে ভাটার টান আসে ধেয়ে-
ঝরাপাতায় লাগে বিদায়ী হাওয়া!
অপূর্ণ রয়ে যায় শান্ত-সবিতা দম্পতির-
বংশপ্রদীপের মুখ দেখতে চাওয়া!
কোলাহলশূন্য নির্জন গৃহকোণে-
শান্ত-সবিতা দম্পতির বৈচিত্রহীন জীবনে;
কারা যেনো ইচ্ছে করেই ক্লেশ বয়ে আনে!
চার দেয়ালে দেখে ওঁরা শুধু বিষাদের ছায়া,
অপূর্ণই রয়ে যায় অসুখী দম্পতির, একটি-
বংশপ্রদীপের মুখ দেখতে চাওয়া!
বিধাতা ভীষণ রসিক, তিনি-
অলক্ষে হাসেন, আর ভাবেন মনে মনে;
সুখ কিছুই নয় বাছা, সেটি অনুভূতি হয়ে-
বাস করে মানব হৃদয়কোণে!
সবিতার ছোট বোন, সুন্দরী সুলেখা-
রোজ আক্ষেপ করে কয়;
উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে বোধকরি-
চরম ব্যর্থ জীবন পরম স্বার্থক হয়!
মেধাবী সবিতার যত মনঃকষ্ট-
জাগে রাত্রী কালে;
নিভৃতে বালিশ ভেজায় শুয়েশুয়ে,
উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলো না বলে!
মুখচোরা অমিত, খুব পরিশ্রমী-
ওদেরই একমাত্র ছোট ভাই,
দিনশেষে একই কথা; এ খাটুনির শেষ কোথায়,
এইবার অন্ততঃ একটি প্রমোশন চাই!
ওদেরই প্রতিবেশী, সুদর্শন অঞ্জন-
উদাস দৃষ্টি যার, চুলগুলো এলোমেলো;
এখনো নববধূর মুখ হলো নাকো দেখা তার-
যদিও আজ চল্লিশের ঘর ছুঁলো!
অপ্রাপ্তির অনুঘটক অধীর আগ্রহে-
দেখতে চায় অ-দেখারে;
হরেক না পাওয়ার উপলক্ষ হয়ে শুধু কিছু-
অভিমানী মন আজীবন হাপিত্যেশ করে মরে!