কে তুমি; আমি কে
আমি জানি।
সবাই জানে।
তুমি আমার কেউ নও।
শুধু মন জানে না। জানলেও-
মন থেকে পারেনা মেনে নিতে-
একটি বিরহী হৃদয়। তাই-
তোমার কল্যাণ কামনায় কেটে গেলো-
আমার অর্ধজীবনের অধিকাংশ সময়!
তোমার শুভকামনায়-
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনিতে আলোড়িত হয় পুরোহিতের কর্ণদ্বয়।
মসনদে ওঠে ঝড়।
রাজ্যের মায়া ছেড়ে রাজকীয় মন বাঁধে খড়কুটোর বসতঘর।
আমি জানি-
তুমি জানো-
সবাই জানে।
আমরা আর আমাদের নই।
শুধু মন জানে না অথবা মানে না-
তুমি আমার নও।
আমার ভাবনার বৃত্তে-
ঘুরে বেড়ায় চেনা ভাবনা-
আমি কে?
কে তুমি?
কেন আমরা-
যত্নে বাঁধি অন্যের আয়েশী ঘর! কেন-
আত্মার সাথে নিবিড় আলিঙ্গনেও-
আমরা আমাদের আত্মীয় নই !
আমায় দেখে -
বিস্ময়ের বিষবৃক্ষের ছায়া খিলখিলিয়ে হাসে-
হাসতে হাসতে-
ভাসতে ভাসতে-
মেঘের অঙ্গে মিশে আমার বিরহ-গীতি।
রয়ে রয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে-
সামাজিক সঙ্কটের যত বেদনাময় স্মৃতি।
অবশেষে উপলদ্ধি হয় -
তোমার-আমার প্রকৃত পরিচয়।
এখন জানি আমি-
কে তুমি? আমি কে?
রাষ্ট্রীয় নথি-পত্রে;
সামাজিক খাতার এন্ট্রিতে,
আমরা কেউ নই আমাদের।
আমার দিন কাটে আজ অরণ্যে-
একা-নির্জনে;
শূন্য স্মশান ঘাটেও দেখি কিছু কোলাহল-
মুখাগ্নির দিনে।
অর্ধজীবন কেটে গেলো আমার-
বিয়োগের নামতা গুনে গুনে।
এখন নির্জনে-
বিবাগী মনে-
চেয়ে আকাশ পানে-
মনে আসে কত ভাবনা!
আমি তাই-
নীরবে-নিঃশব্দে করে যাই-
তোমার সিঁদুর রাঙা সিঁথির মঙ্গল কামনা।