
ঔষধি গুণের জন্য বেশ পরিচিত গাঁদা ফুল। দীর্ঘদিন ধরেই এ ফুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গাঁদা ফুল থেকে তৈরি করা যায় চা, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেয় এর রেসিপি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা।
রেসিপি
গাঁদা ফুলের পাপড়ি ভেঙে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবার একটি পাত্রে পানি
ঢেলে গরম রাখুন। ফুটতে শুরু না করা পর্যন্ত গরম হতে দিন। একটি কাপে গাঁদা ফুলের পাপড়ি
রাখুন। ফুটন্ত পানিতে ঢেলে দিন পাপড়ি। ১০ মিনিট পর পানি চুলা থেকে নামান। এরপর ফিল্টার
করে পান করুন।
গাঁদা ফুলের চায়ে উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়: নিয়মিত গাঁদা ফুলের চা পান করলে
আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল,
অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল যৌগের কারণে। এ চায়ের সাহায্যে ঠাণ্ঠা, জ্বর
এবং কাশির মতো সমস্যা নিরাময় করা যায় এবং শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা
বাড়ানো যায়।
ত্বক উজ্জ্বল করে: গাঁদা ফুলের চা ত্বকের যত্নেও সাহায্য করতে পারে।
এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্রণ এবং একজিমার চিকিৎসা
করতে পারে, ত্বককে পরিষ্কার এবং দাগহীন রাখে। এই চা কোলাজেন বৃদ্ধি করে ত্বককে তারুণ্য
ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখে। এর নিয়মিত ব্যবহার দাগ, ডার্ক সার্কেল এবং ব্ল্যাকহেডস দূর
করতে পারে এবং আপনাকে একটি ন্যাচারাল আভা এনে দিতে পারে।
পেটের জন্য উপকারি: গাঁদা ফুলের ভেষজ চা পাকস্থলীর জন্য ভালো, কারণ এটি
হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে। এর ব্যবহার গ্যাস, বদহজম এবং পেট ফাঁপার
মতো সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। এই চা পিত্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা চর্বির
ভাঙন এবং পুষ্টির শোষণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও, এটি পান করলে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হয়
এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হতে পারে।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়: গাঁদা ফুলের চায়ের আরও একটি
অলৌকিক উপকারিতা হল, এটি পান করলে মানসিক চাপ কমে। এটি কার্যকরভাবে উদ্বেগ এবং নার্ভাসনেস
দূর করতে পারে। এটি খেলে মন শান্ত হয় এবং স্বস্তি বোধ হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের
উন্নতি করে । আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক কাপ গাঁদা ফুলের চা যোগ করলে ঘুমের
মানও উন্নত হতে পারে।