গরম পড়ার আগে বসার ঘরটি যেভাবে সাজাবেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২১ পিএম

মৌসুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সাজপোশাক বদলে যায়, ঠিক তেমনি অন্দরসজ্জাতেও টুকিটাকি বদল আনলে বেশ ভালোই লাগে। ভ্যাপসা গরম এখনো পড়েনি। তবে আর কিছু দিনের মধ্যেই তাপমাত্রার পারদ চড়বে ওপরের দিকে। সেই সময়ে বাইরের অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে বাড়ি ফিরে শান্তিটুকুই তো কাম্য, তাই নয় কি?
সে জন্য ঘরের পরিবেশ এমন হতে হবে, যা চোখে আরাম দেবে, আবার মনেরও শান্তি জোগাবে। তার জন্য বিস্তর দামি আসবাব কিংবা শোপিস দিয়ে ঘর সাজানোর দরকার নেই। আপনার রুচিমাফিক আটপৌরেভাবেও ঘর সাজাতে পারেন। অন্দরসাজ এমন হবে, যাতে শৌখিনতার ছাপ থাকবে, আবার পরিবেশও হবে আরামদায়ক।
আপনার বসার ঘরটি দিয়েই সাজ শুরু করা যাক। আপনার অতিথিরা এলেও এই ঘরটিতে বসেই জিরিয়ে নেবেন। বসার ঘর কেমনভাবে সাজাবেন, তা আপনার নিজস্ব পছন্দ ও রুচির ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু একটু ধারণা তো দেওয়াই যেতে পারে, তাই নয় কি?
আপনার চোখ জুড়াতে হালকা রঙের ছোঁয়া চাই। গরমের সময়ে একটু হালকা রঙই বেশি ভালো লাগে। যেমন— সাদা, হালকা সবুজ, হালকা হলুদ, বেজ বা আকাশি নীল রঙে চোখের আরাম হয় বেশি। তাই পর্দা, সোফার কাভার, কুশন কাভার কিংবা টেবিলের কাভারের জন্য হালকা রঙই বেছে নিন। তবে রোদের তেজ আটকাতে জানালায় হালকা ও ভারি দুই রঙের পর্দাই লাগাতে পারেন। কাঠ বা বার্নিশ শেডের আসবাব থাকলে যে কোনো রঙের চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার আসবাব যদি হয় কালো কিংবা সাদা, তা হলে মানানসই রঙ ও প্যাটার্নের চাদর বাছাই করে নিতে পারেন।
আর এসি ছাড়াই ঠান্ডা করুন ঘর। মাদুরের পর্দা, শীতলপাটি, টেরাকোটার শোপিস রাখতে পারেন ঘরে। ভারি কার্পেট এই সময়ে তুলে রাখুন। অতিরিক্ত আসবাব ঘরে রাখার দরকার নেই। নতুন কিছু কিনতে হলে বেতের আসবাব কিনতে পারেন। বেতের মোড়া, চেয়ার ও টেবিল বেশ পরিপাটি।
আপনি মনে রাখবেন, বসার ঘরের সাজ হতে হবে পরিপাটি। সবুজের ছোঁয়া থাক বৈঠকখানায়। আর থিমনির্ভর অন্দরসজ্জাই যে চোখ টানে তা নয়,কেবল গাছ দিয়েই ঘরের সাজসজ্জা বদলে দিতে পারেন। আর গরমের দিনে চারপাশটায় যদি সবুজের ছোঁয়া থাকে, তা হলে মন ভালো হয়ে যায়। ছোট ছোট গাছ রাখার জন্য ঘরের তাক ব্যবহার করুন।
আর এ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দেয়ালে ঝোলাতে পারেন ফুলগাছের টব। একরঙা দেয়াল হলে ফুলগাছ লাগালে সেটি এক ধরনের বৈচিত্র্য তৈরি করবে। বাজারে ঝুলন্ত টব পাওয়া যায়। জানালায় সেগুলো ঝুলিয়ে তাতে ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন। খুব বেশি গাছ রাখবেন না, তা হলে জানালা অবরুদ্ধ হয়ে যাবে। ঘরের কোণের দিকে কোনো আংটা থাকলে, সেখানে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দুয়েকটি গাছ রাখতে পারেন। ঘরে পাথরের টেবিল থাকলে সেখানে বাহারি কাচের পাত্রে পানি ভরে গাছ রাখতে পারেন।
দেয়ালজুড়ে ভারি কাজ করাতে পারেন বা ছিমছাম ইনস্টলেশন। পছন্দমতো ছবি কিংবা আর্ট ইনস্টলেশনের মাধ্যমেও বৈচিত্র্য আনতে পারেন। দেয়ালের আয়তনের ওপর সবটাই নির্ভর করবে। ফটোফ্রেম, ওয়াল হ্যাকিং, ওয়াল প্লেট— এ ধরনের সামগ্রী তো আছেই, ছক ভাঙার জন্যই এখন অনেকে বেছে নিচ্ছেন ওয়াল পেইন্টিং। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে ছবি আঁকাতে পারেন, আর যদি নিজে রঙতুলিতে পারদর্শী হন, তা হলে তো কথাই নেই। মধুবনী, পটচিত্র স্টাইলে কিছু আঁকতে পারেন অথবা নানা রকম ম্যুরাল মন্দ লাগবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে— রঙের যেন বাড়াবাড়ি না হয় এবং দেয়ালে ছবির সাজ থাকলে ঘরও সাজাতে হবে তেমনভাবেই।