শুধু শুয়ে-বসে থাকতে চাওয়ার দোষ আপনার না, দুই ভিটামিনের
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। যে ব্যক্তি বসে বসে অলসভাবে সময় কাটায় তার মাঝে সবসময় শয়তানি বুদ্ধি কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিজীবনে যে ব্যক্তি অলসতা নিয়ে নিজের সময় পার করতে ব্যস্ত থাকে, সেই ব্যক্তি কখনোই জীবনে উন্নতি করতে পারে না। সবসময় সে পিছিয়েই থাকে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়; বিষয়টি হচ্ছে, কোনো কাজ করতে ভালো না লাগা, শুধু শুয়ে-বসে থাকতে চাওয়া-ও একটি রোগ।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও আলস্য চেপে বসছে। আলসেমির কারণে কোনো কাজই করতে পারছেন না আপনি। খালি মনে হচ্ছে, দিনভর শুয়ে-বসে কুড়েমি করে কাটিয়ে দিতে পারলেই ভালো হয়। উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়ছে দিন দিন।
এমন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তাদের সকালে অফিস যেতেও অনীহা, বাড়ির কাজকর্মেও অনীহা, নতুন কিছু করা বা শেখার আগ্রহেও অনীহা, সব কাজেই আগ্রহ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শরীর ও মনে যেন কোনো জোরই নেই। এসব কেবল প্রতিদিনের জীবনযাপনের কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণেই হয়, তা কিন্তু নয়; বরং এই আলসেমির নেপথ্যেও রয়েছে বড় কারণ। আর এ সমস্যার সমাধানও দিচ্ছে দুই ভিটামিন।
কারণ এই ব্যস্ত সময়ে দুই মিনিট বসে থাকার জো নেই কারো। অথচ এর মধ্যেই শরীর ও মনজুড়ে পাহাড়সম ক্লান্তি।অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, মানসিক চাপে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়ছে অনবরত।
চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত আলস্য, ক্লান্তি ভাব বা ঝিমুনির কারণ কিন্তু ভিটামিনের অভাব। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য আছে, তা বিগড়ে গেলেই তখন পেশির ক্লান্তি বাড়ে। শরীরের দুর্বলতাও বাড়ে।
এবার জেনে নিন কোন দুই ভিটামিনের ঘাটতিতে এমন হয়-
ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে এমন হতে পারে। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ক্লান্তি, ঝিমুনি ও শারীরিক দুর্বলতা অনেক বেড়ে যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া এবং হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ ও মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া ও হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।
আবার ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলেও ক্লান্তি বেড়ে যায়। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন মানসিক রোগের কারণও হতে পারে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। তা ছাড়া হাত-পা কাঁপা, পেশির অসাড়তা, পেশিতে টান ধরা ও ঝিমুনি ওমাথা ঘোরার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।
আর আলস্য কাটাতে হলে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। সে জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও জরুরি।