ছবি: সংগৃহীত
ছেলেদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়— চুলে খুশকি হলে খুব একটা পাত্তা দেয় না। তবে এটি থেকে খারাপ কিছু হতে পারে। চুল পড়া, চুল নরম হয়ে যাওয়া থেকে টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাথায় খুশকি বেশি হয়। উটকো হয়ে থাকা খুশকি দূর করতেও কত কাঠখড় পোহাতে হয়।
দামি ড্রানড্রাফ শ্যাম্পু কিনে টাকা খরচ না করে ঘরোয়া কিছু উপায় মানতে পারুন। তাতে টাকার পাশাপাশি সমাধানও হবে খুশকির।
- লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। মাথার অতিরিক্ত তেল বার করে দিতেও এটি খুবই কার্যকর। মাথায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশিক্ষণ রাখবেন না। এতে হিতেবিপরীত হতে পারে।
- চুল ও মাথার ত্বকে ভালো করে মাসাজ করুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিলে খুশকি কমবে।
- শুষ্ক আবহাওয়ায় তেল মাথায় আর্দ্রতা জোগায়। চুলের গোড়ায় পুষ্টির জোগান দেয়। নারিকেল তেল একটু গরম করে তাতেই যোগ করুন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। গোসলের আধ ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
- একটি পাকা কলা নিন। তার সঙ্গে নিন এক চামচ মধু ও লেবুর রস। এগুলো মিশিয়ে যে মিশ্রণটি তৈরি হবে তা মাথার ত্বক ও চুলের গোড়াতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। এরপর একটি কাপে অল্প অ্যালোভেরার রস নিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর আবার ভালো করে ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে।
- লেবুর খোসা দিয়ে দূর করতে পারেন খুশকির সমস্যা। ৪ থেকে ৫ কাপ পানিতে ৪ থেকে ৫টি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ২০ মিনিট ধরে ফোটান। ঠান্ডা হলে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণটি ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
একটা বিষয় মাথায় রাখুন, খুশকি শুধু যে মাথার চুলকে নষ্ট করে তা কিন্তু নয়। খুশকি মাথার স্ক্যাল্পে চুলকানি ও মুখে ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। শীত মৌসুমে মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। খুশকির সমস্যায় বাজারের প্রচলিত শ্যাম্পু না কিনে এই ঘরোয়া উপাদানে খুশকি সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন। সুন্দর ও সুস্থ থাকুন।