পুষ্টির ভাণ্ডার ডাল, অসুখেও কি খাওয়া যাবে?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মেন্যুতে যতই মাছ, গোস্ত, পোলাও আর কোরমা থাক না কেন— খেতে বসলে বাঙালির ডাল ছাড়া চলে না। প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া থেকে বিয়ের ভোজ, সব জায়গাতেই ডালের রয়েছে সমান কদর। পেট খারাপ হোক কিংবা মন খারাপ, ডাল দিয়ে দুমুঠো ভাত মেখে খেলেই পাওয়া যায় স্বস্তি। তাছাড়া ডাল হলো পুষ্টির ভাণ্ডার। ফাইবার থেকে প্রোটিন, সুস্থতার অন্যতম অনুঘটক হল এই উপাদানগুলো।
মাছ, গোস্ত, ডিম না খেয়েও শুধু ডালের গুণেই দীর্ঘদিন সুস্থ এবং ফিট থাকা যায়। তবে ডালের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সেগুলো রান্না হয় অনেকের বাড়িতেই। কিন্তু কোন ডাল, কোন রোগের দাওয়াই, সেটা জেনে নেওয়া জরুরি—
মুগ ডাল
ডাল মাত্রই উপকারী। তবে গ্যাস-অম্বলেরর সমস্যা থাকলে মুগডাল ঘন ঘন খাওয়া ঠিক হবে না। মুগডাল হজম হতে সময় নেয়। ঠিক করে হজম না হলে পেট ফাঁপতে পারে। তার মানে মুগডাল খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ডাল রান্না করলে সমস্যা হবে না। মুগডাল অনিদ্রা, শরীরের দুর্বলতা দূর করে। জন্ডিসের ঝুঁকিও কমায় এই ডাল।
মসুর ডাল
মসুর ডালের গুণ গাওয়ার দরকার পড়ে না। এই ডাল বহু স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে মুসুর ডাল খাওয়া জরুরি। তবে লিভার ভালো রাখতেও মুসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার। তবে পুষ্টিবিদেরা রোজ মুসুর ডাল খেতে বারণ করেন। তাতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ত্বক এবং অত্যধিক ড্রাই হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে মসুর ডাল অন্যতম দাওয়াই।
ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে ছোলার ডালের যুগলবন্দি অনবদ্য। ওজন কমাতে হল ছোলার ডাল খাওয়া যেতে পারে। ছোলার ডালে থাকা ফাইবার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে হজমের গোলমাল থাকলে বেশি ছোলার ডাল খেলে মুশকিল হবে। সেক্ষেত্রে বুঝেশুনে খাওয়াই শ্রেয়।