প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরে ৭৩ কিলোক্যালোরি রয়েছে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। ভিটামিন সি বয়েছে প্রচুর পরিমাণে, সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও আছে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন সি এবং এতে থাকা নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।সবুজ, কালো, গোলাপি কয়েক রকমের আঙুর রয়েছে; যা দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। তবে যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা এ ফল এড়িয়ে চলেন। খাবার তালিকায় রাখেন- আপেল, শসা, তরমুজ জাতীয় খাবার।
কিন্তু সত্যি কি ওজন কমাতে আঙুর বাদ দেওয়া দরকার? নাকি পরিমাণে কম খেতে হবে? জেনে রাখুন-
ফাইবার
ক্যালোরির পরিমাণ একটু কম হলেও আঙুরে রয়েছে পচনশীল ফাইবার। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ভাল হজম করতে এবং শারীরের নানা কাজে ফাইবারের বিশেষ ভূমিকা অতুলনীয়।
পানি
আঙুরে পানিও রয়েছে ভালো। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি পানির চাহিদা পূরণ করে আঙুর। ফাইবার ও পানি থাকায় ফলটি খেলে পেট অনেক্ষণ ভরা থাকে।
পরিপাকে প্রভাব ফেলে
আঙুরে রেসভেরাট্রল, পলিফেনলের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে; যা শুধু শরীর ভালো রাখে না- হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিপাক হার বাড়াতেও সাহায্য করে। ওজন কমাতে হলে ভালো পরিপাক হওয়া দরকার।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আঙুর খাওয়ার সঙ্গে ওজন কমানো বা বাড়ানোর খুব বেশি সম্পর্ক নেই। তবে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আঙুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন সি যেমন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক, তেমনই শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমাতে যতটুকু খাবেন
ওজন কমাতে আঙুর বাদ দিবেন তা নয়। বরং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ৫০ গ্রাম করে আঙুর খেতে পারেন। কালো আঙুরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বেশি থাকে। পুষ্টিবিদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ৫০-১০০ গ্রাম আঙুর খেতে পারেন; কিন্তু ক্যালোরির হিসাব বুঝে নেওয়া জরুরি।
নাস্তা হিসেবে আঙুর
বিভিন্ন সময়ের নাস্তা হিসেবে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আঙুর।
মিষ্টি খাওয়ার বদলে আঙুর রাখুন খাদ্য তালিকায়। সেই হিসেবে-
১. সকাল এবং সন্ধ্যায় কয়েকটি আঙুর রাখতে পারেন তালিকায়।
২. আঙুর ফ্রিজে ঠান্ডা করে কাঠিতে করে সাজিয়ে খেতে পারেন। খাবার সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখলে তা খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। এভাবে কৌশলে অস্বাস্থ্যকর চিনিযুক্ত খাবার বাদ দেওয়া যেতে পারে।
৩. আঙুর, বেরি জাতীয় ফল, ঠান্ডা দুধ দিয়ে মিশিয়ে আলাদা খাবার বানাতে পারেন।