
ছবি: সংগৃহীত
এতদিনে হয়ত ‘গ্লুটেন-মুক্ত খাবার’ শব্দটি শুনেছেন। কিন্তু জানেন, এটি কেন এত আলোচনায়, এটি আসলে কি, উপকারিতা বা এর গুরুত্ব কি? গ্লুটেন মূলত একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার বোঝায়। গ্লুটেন-মুক্ত খাবার মানে এমন খাবার খাওয়া যাতে গ্লুটেন নেই। এর মধ্যে রয়েছে তাজা ফল, সবজি, চাল, ভুট্টা, জোয়ার এবং প্রোটিনের উৎস যেমন মাংস, ডিম এবং ডাল।
দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্লুটেনমুক্ত খাবার। যে খাবারগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন থাকে, সেগুলোও গ্লুটেনমুক্ত করে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কেন এটি এত আলোচনায়?
যেসব কারণে বেড়েছে জনপ্রিয়তা
স্বাস্থ্য সচেতনতা: অনেকে এটিকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অংশ মনে
করেন। এমনকি যদি তাদের গ্লুটেনের কোনো সমস্যা না থাকে। অনেকে ওজন কমানোর বা হজমের উন্নতির
জন্য এটি গ্রহণ করেন।
সেলিব্রিটি প্রবণতা: অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি গ্লুটেন-মুক্ত খাবারের
প্রচার করেন। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন পপ তারকা জাস্টিন বিবার। যার ফলে এটি একটি
ফ্যাশন হয়ে উঠেছে।
প্রাকৃতিক এবং পরিষ্কার খাবার: গ্লুটেন-মুক্ত খাবারে প্রক্রিয়াজাত
খাবার কম থাকে, যা এটিকে স্বাস্থ্যকর বিকল্প করে তোলে।
ডিজিটাল প্রভাব: সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্লুটেন-মুক্ত রেসিপি এবং খাবারের
জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
চিকিৎসা সচেতনতা: ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদরা এখন আরও সচেতনতা ছড়াচ্ছেন
যে সিলিয়াক রোগ এবং গ্লুটেন সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে গ্লুটেন-মুক্ত খাবার উপকারী হতে
পারে।
- হজমের উন্নতি: সিলিয়াক এবং গ্লুটেন সংবেদনশীলতায় আক্রান্তদের
জন্য।
- ত্বকের সমস্যায় উপশম: একজিমা এবং ব্রণ কমাতে পারে।
- শক্তি বৃদ্ধি: হজম সংক্রান্ত সমস্যা কম হওয়ায় ক্লান্তি কমে।
- প্রদাহ কমায়: পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যায় উন্নতি।