Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

শীতে জয়েন্টে ব্যথা হয় কেন?

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম

শীতে জয়েন্টে ব্যথা হয় কেন?

ঠান্ডা পড়লে জয়েন্টের পুরনো ব্যথা নতুন করে শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ অফ রিউমাটোলজির মতে, বিশ্বের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন। 

অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে জয়েন্টের ব্যথা বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যায়। হাড়ের তরল বা ঝিল্লির পরিবর্তন, আঘাত বা ভিতরে কোনো রোগের বিকাশের কারণে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

পিঠ এবং হাঁটুর ব্যথায় অনেকেই ভোগেন। নিতম্ব, হাত এবং কব্জিতেও ব্যথার অনেক ঘটনা রয়েছে।

জয়েন্টগুলোতেও ঠান্ডা লাগে

ঠাণ্ডার সময় জয়েন্টের রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, এতে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। আমাদের জয়েন্টে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে একটি তরল থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে কিছুটা ঘন হয়ে যায়। এটি জয়েন্টগুলোতে শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা বাড়তে পারে। শীতকালে বাতাসের চাপ কমে যায়, যার ফলে টেন্ডন, পেশী এবং টিস্যু ফুলে যায়, যা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

শীতে জয়েন্ট সুস্থ রাখতে করণীয়-

১. ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে হলে কাপড়ের নিচে একটি থার্মাল স্যুট পড়া যেতে পারে। গ্লাভস এবং মোজাও পরতে পারেন।  তাপমাত্রা কম হলে বাইরে ব্যয়াম না করাই ভালো। শীতে শুকনো ফল খেতে হবে। এগুলো শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ভিটামিন ই জয়েন্টগুলোতে লুব্রিকেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

২. নিয়মিত ব্যয়াম হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করে। নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং শক্ততা বৃদ্ধি পায়। 

৩. ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করি। এমন পরিস্থিতিতে ভাজা খাবার এবং চা, কফি খাওয়া বেড়ে যায়। এতে ওজন বাড়তে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৪. শীতকালে আপনি ঘামছেন না তার মানে এই নয় যে আপনার শরীর থেকে তরল বের হচ্ছে না। এই ঋতুতে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে আপনার শরীর ত্বক এবং শ্বাসের মাধ্যমে আর্দ্রতা হারায়। আপনি যদি বেশি পানি পান করতে না পারেন তাহলে স্যুপ, হার্বাল চায়ের মতো উষ্ণ পানীয় খান। এতে শরীর গরম থাকবে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।

৫. জয়েন্টে ব্যথা হলে জয়েন্টগুলিতে হিটিং প্যাড লাগান যাতে আপনার পেশীগুলো আরাম পায়। হালকা গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে জয়েন্টগুলোতে আরাম পাওয়া যায়। ব্যথা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম