জেঁকে বসেছে শীত। বাংলাদেশে প্রায় জেলাতেই কমছে তাপমাত্রা। কিছু কিছু অঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহও দেখা যাচ্ছে। এমন সময় যদি অল্প কিছু খাবার খেয়েই নিজেকে উষ্ণ করা যায়, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া কে করতে চাইবে!

স্বাস্থ্যকর এসব খাবার যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, তেমনি শীতের দিনে শরীর গরমও করে দেবে। এমন পাঁচটি খাবার নিয়েই আজকের আয়োজন। যেসব খাবার প্রস্তুত করতেও ঝামেলা কম। সময়ও লাগবে খুবই অল্প।

১. ভাজা বাদাম : অল্প খিদে মেটাতে অনেকেই ভাজা বাদাম খান। খাবারটি বেশ মুখরোচকও। শীতে এটি আপনাকে বাড়তি উষ্ণতাও দেবে। বাদামে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিনের এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার একমুঠো আপনাকে অনেক সময় চাঙ্গা রাখবে।

২. ভেজিটেবল স্যুপ : শীতের দাপটে যখন লেপ ছেড়ে উঠতে মন চায় না, তখন এক বাড়ি সবজি স্যুপ হতে পারে দারুণ আয়োজন। আরামদায়ক উষ্ণতা তো দেবেই তার সঙ্গে এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেলসে ভরপুর থাকে স্যুপ।

৩. লাড্ডু : বাঙালি হিসেবে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা তো আছেই। যদি এই প্রবণতা কাজে লাগিয়ে একটু নিজেকে উষ্ণও করা যায়, তবে ক্ষতি কি। বেসন, নারকেল বা শুকনো ফল থেকে তৈরি করে নিতে পারেন লাড্ডু। শীতের সকালে বা বিকালে কোন এক সময় টুপ করে মুখে পুড়ে খিদের পাশাপাশি নিজেকে চাঙ্গাও করে নিতে পারবেন।

৪. পপকর্ন : মুভি দেখতে দেখতে হোক বা নাস্তা— পপকর্ণ দারুণ কাজে দেয়। তার মাঝে যদি কিছু ভেষজ ও মশলা যুক্ত করতে পারেন, তবে সেটি যেমন উপাদেয় হবে তেমনি স্বাস্থ্যকরও হবে।

৫. ফল এবং বাদাম মিক্স : শরীর ঠিক রাখতে অনেকেই শুকনো ফল খান। তার সঙ্গে বাদাম, দই ও মধু মিক্স করে দেখুন। তৃপ্তিদায়ক অনুভুতি তো পাবেনই, সঙ্গে মিটে যাবে খিদেও। খাবারটি আপনার মস্তিষ্ক ভাল রাখবে, প্রো-বায়োটিক এবং প্রাকৃতিক চিনি দিয়ে ভরপুর। তাই ভুলের এই শীতে মিস এসব খাবার করবেন না।