যেসব কারণে হোমিওপ্যাথিক ওষুধেও হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আমরা সাধারণত খুব ভেবেচিন্তে ডাক্তারের নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু, যখন হোমিওপ্যাথি ওষুধের কথা আসে, তখন অনেকেই মনে করেন যেহেতু এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই সহজেই যে কোনো ওষুধ সেবন করা যায়।
অনেকে হোমিওপ্যাথিকে ওষুধ নয়, মিষ্টি বড়ি মনে করেন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে সত্যিই শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না?
ভারতের খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হরপাল সিং বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যে কোনো রোগে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। হোমিওপ্যাথিতে শুধু রোগ নয়, শারীরিক ও মানসিক উপসর্গের কথা মাথায় রেখেও চিকিৎসা করা হয়।
তিনি বলছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। কিন্তু কোনো ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করলে শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতেই পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত এবং নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. হরপাল সিং বলেন, হোমিওপ্যাথিতে সঠিক পরিমাণে ওষুধ দেওয়া হয় যার কারণে এটি শরীরের কোনো ক্ষতি করে না এবং শরীরের কোনো অংশে বড় প্রভাব ফেলে না। এটি শরীরে কম বিষাক্তকর প্রভাব ফেলে। এই ওষুধ তৈরি করার সময় কোনো রাসায়নিক স্বাদ বা রঙ ব্যবহার করা হয় না। এই কারণে এটি নিরাপদ।
যদিও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৩টি কারণে ঘটতে পারে
১. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যে কোনও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে।
২. কেউ যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিজে থেকে এবং অনির্ধারিত পরিমাণে সেবন করেন, তাহলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
৩. মেয়াদোত্তীর্ণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া হলে অবশ্যই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে
মনে রাখা দরকার-
হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা হয় এবং সঠিক পরিমাণে সেবন করা হয় তাহলে কখনই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। ১০০টির মধ্যে মাত্র একটি বা দুটি এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যেখন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কোনো ব্যক্তির শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ মূল থেকে রোগ নির্মূল করেডা. হরপাল সিং বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মতো কোনো রোগকে আপাতভাবে দমন করে না। বরং শিকড় থেকে নির্মূলে বিশ্বাসী। এতে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আরোগ্যের পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কিছু সময় লাগতে পারে। বড় ও গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ৬ মাস-১ বছর পর্যন্তও সময় লাগতে পারে।