চাকরি জীবনের যে ভুলে বার্ধক্যে সংকটে পড়তে হয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
একটা সময়ের পর সবাইকেই অবসর সময় কাটাতে হয়। তবে অধিকাংশ মানুষই প্রথম দিকে অবসর নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা করেন না। কিন্তু যখন বয়স বাড়ে তখনই সমস্যায় পড়েন। আসলে মানুষের জীবনের অনেকটা সময় কেটে যায় আনন্দ-ফুর্তিতে। এরপর যখন অবসরের পর্ব শুরু হয় তখনই দেখা যায় পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়েছে অনেক কিছু। তাই চাকরি জীবন থেকেই এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে অবসর সময়ে সমস্যা আরও ঝেঁকে বসবে। চলুন জেনে নেই সেই সম্পর্কে।
১) EPF-এর ওপর ভরসা কমাতে হবে: অনেকেই কর্মজীবন থেকে EPF অর্থাৎ এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর ভরসা করে থাকেন। বছরের পর বছর যেহেতু এই ফান্ডে টাকা জমছে তাই আর অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয়ের কথা ভাবেন না। কিন্তু এই কাজ করা মোটেও উচিত নয়। কারণ মনে রাখবেন এই ফান্ডে সুদের হার সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু বাজারে আরো অনেক বিকল্প রয়েছে যেখানে টাকা বিনিয়োগ করলে আরো বেশি সুদ পেতে পারেন। তাই ইপিএফ-এ ভরসা কমাতে হবে।
২) দেরিতে অর্থ সঞ্চয়: এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জীবনের প্রথম সময় দু’হাত খুলে টাকা ওড়ান। তাদের মতে, এখন টাকা জমানোর বয়স নয়। হাতে অনেক সময় আছে পরবর্তীতে টাকা সঞ্চয় করা যাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যত তাড়াতাড়ি অর্থ সঞ্চয় করবেন, ততই আপনার জন্য মঙ্গল। একটা সময় পর আপনাকে আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে হয় না। তাই দেরিতে অর্থ সঞ্চয়ের কথা ভুলে যান।
৩) স্বাস্থ্য বিমা: সঞ্চয়ের দশ শতাংশ হলেও স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ করা উচিত। অনেকেই চাকরি পাওয়ার অনেক পর স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও দেরিতে করার ভুল মোটেও করবেন না। বিশিষ্টদের মতে, অবসর সময় স্বাস্থ্য বিমা অনেকটাই স্বস্তি দেয়। তাই আজ থেকেই শুরু করুন স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ।
৪) দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প: মনে রাখবেন, অবসরের পর আয়ের পথ ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। তাই কর্মজীবনে এমন প্রকল্পের সঞ্চয় করুন, যা হবে দীর্ঘমেয়াদি। অবসরের পরপর যাতে বিমা ম্যাচিওর হয়ে গিয়ে সবটাকা হাতে না চলে আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সঞ্চয় প্রকল্প এমনভাবে বেছে নিতে হবে, যাতে অবসরের পরেও নিয়মিত অল্প হলেও বিনিয়োগ করা যায়।
৫) ভবিষ্যতের জন্য হিসাব করে অর্থ সঞ্চয়: মনে রাখবেন, বর্তমানে সংসারের জন্য যত টাকা খরচ হচ্ছে আগামী দশ বছর পর কিন্তু তা হবে না। বরং এই খরচের পরিমাণটা আরও দ্বিগুণ হবে। তাই সঞ্চয় করতে হলে ভবিষ্যতে কতটা খরচ হতে পারে তারও একটা হিসাব-নিকাশ করে নেওয়া উচিত। আর ঠিক সেইভাবেই অর্থ সঞ্চয় করুন।