রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করে যেসব খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আপনার
শরীরের রক্তকোষে
লৌহসমৃদ্ধ এক ধরনের প্রোটিনই হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এটি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে। এই হিমোগ্লোবিনের কারণেই রক্ত লাল হয়ে
থাকে। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ
হচ্ছে— দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। এর
মধ্যে অ্যানিমিয়া অন্যতম। এ
ছাড়া আপনার
মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
একজন পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। নারীর রক্তে ১২-১৫.৫/১৬ গ্রাম। তবে অনেকের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে। তবে কিছু খাবার খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক হয়ে যায়।
এ
জন্য আমাদের কোন
খাবার খাওয়া উচিত, তা ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। কীভাবে
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে, সেটি জানা জরুরি। মেডিক্যাল নিউজ টুডেতে পুষ্টিবিদ এমন কিছু খাবারের নাম বলেছেন, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াবে।
যেমন—
লৌহযুক্ত খাবার
আপনার
শরীরের লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে— মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, লাল আঙুর, ব্রকলি, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
আপনার শরীরে ভিটামিন সির অভাব হলেও রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এগুলো লৌহ শোষণে সহায়তা করে, ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
প্রাণিজ খাদ্য
প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে আছে কলিজা, ডিম, দুধ ও মাংস। এই প্রাণিজ খাদ্য থেকে খুব সহজে হিম (হিমোগ্লোবিনের অপ্রোটিন অংশ হিম+গ্লোবিন) তৈরি হয় এবং তা শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সেই পরিমাণে হিম তৈরি হতে পারে না বলে প্রাণিজ উৎসকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান
বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।