অভিভাকদের যেসব কাজে নষ্ট হয় শিশুর আত্মবিশ্বাস
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
মানুষের বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর এই আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি কিন্তু হয় ছোটবেলা থেকেই। যদি ছোটবেলায় কোনো কারণে আত্মবিশ্বাস বা আত্মসম্মান বোধের জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়, এর প্রভাব সারা জীবনই পড়ে।
অভিভাবকদের এমন কিছু কথা-কাজ বা ব্যবহার আছে যেগুলো প্রতিনিয়ত হয়তো শিশুর সঙ্গে জেনে বা না জেনে করে থাকেন। যেগুলো শিশুর আত্মসম্মানকে নষ্ট করে দেয়। আর ভাবেন, হয়তো এগুলো শিশুর জন্য ভালো। আসলে হয়তো হিতে বিপরীত হয়। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়তে মা-বাবার সহযোগিতা খুব জরুরি। চলুন জেনে নেই এমন কিছু কাজ সম্পর্কে, যেগুলো শিশুর আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়।
প্রয়োজন ছাড়া সমালোচনা: যখন কোনো শিশুকে বারবার তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তখন সে নিজের সম্পর্কে দ্বিধাবোধ করে। নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায়। শিশু কী ভুল করেছে তা না বলে তার উন্নতির জন্য তাকে উৎসাহ দিন।
অতিরিক্ত অধিকারবোধ:
সন্তানকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে বাবা-মা ঢাল হয়ে দাঁড়াবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সন্তানকে নিয়ে অতিরিক্ত অধিকারবোধ দেখালে তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়। যদি বাচ্চাদের ঝুঁকি নিতে না দেন বা নতুন কিছু করার অনুমতি না দেন তাহলে তারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাবে।
অতিরিক্ত আশা করা:
অনেক বাবা-মাই আছেন সন্তানের কাছে মাত্রারিক্ত আশা করেন। যদি সন্তান বুঝতে পারে সে কখনই বাবা-মায়ের আশা পূরণ করতে পারবে না তখন সে মানসিক চাপে ভূগবে। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস হারাবে।
তুলনা করা:
শিশুকে তার ভাইবোনের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করলে সে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। তার মধ্যে হিংসা তৈরি হবে। নিজেকে ছোট মনে করবে।
প্রশংসা প্রয়োজন:
শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তার ছোট ছোট চেষ্টার প্রশংসা করা প্রয়োজন। এতে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কখনও তাকে তিরস্কার করবেন না।
আবেগকে গুরুত্ব না দেওয়া:
শিশুদের মন বুঝতে হবে এবং তার আবেগকে সমর্থন দিতে হবে। যখন তাদের আবেগ উপেক্ষা করা হয় তখন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাদের কথা শুনলে এবং আবেগকে গুরুত্ব দিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ভুল করলেই শাস্তি নয়:
শিশুরা ভুল করতেই পারে। এজন্য তাকে কঠিন শাস্তি দিলে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়। ভুল হলে শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে তাকে শেখার সুযোগ দিন।
অতিরিক্ত শাসন আর বিধিনিষেধ:
শিশুদের কাছে আপনি কি চান তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। তবে অতিরিক্ত শাসন আর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন না। এমন আচরণ তার মধ্যে দ্বিধা আর নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে পারে।