বয়স অনুযায়ী রক্তে সুগার লেভেল কত হলে আপনি ফিট

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ কোটি। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা অধিকাংশ সময় শরীরে বাসা বাধে রোগীর অজান্তেই। যখন ধরা পড়ে, তখন ক্ষতি হয়ে যায় অনেকখানি। পাশাপাশি ডায়াবেটিস একা আসে না, ডেকে আনে আরও হাজার রকমের সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যত তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করা যায়, তত সুবিধা হয় চিকিৎসায়।
অনেক মানুষের ধারণা, ৪৫ বছর বয়স হয়ে গেলেই উপসর্গ থাক বা না থাক, প্রতি বছর অন্তত এক বার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে এখন আর ৪০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের দেহে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। তবে গত তিন দশকে এই চিত্র বদলে গেছে। তাই ছোট থেকেই রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কোন বয়সে রক্তে শর্করা/সুগারের মাত্রা কত হওয়া স্বাভাবিক?
৬ বছরের নীচে শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
২০ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তাদের ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে থাকাই শ্রেয়।
কীভাবে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়
আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনাকে যে কোনও মূল্যে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার জন্য শুধু ওষুধ খেলেই যথেষ্ট নয়। আপনাকে খাওয়া দাওয়া ভীষণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পাশাপাশি শারীরিক শ্রম বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস তৈরি করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল হবে। ডায়েটের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি জিনিস, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন।