যেভাবে বারান্দায় অ্যালোভেরা গাছ লাগাবেন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
ফাইল ছবি
অ্যালোভেরাকে ত্বক ও চুলের যত্নে জাদুকরি ভেষজ বলা হয়। ব্রণের দাগ দূর করা থেকে শুরু করে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে যেমন অ্যালোভেরার অবদান রয়েছে, তেমনি চুল ঝলমলে করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
শুধু কী তাই? টাটকা অ্যালোভেরার শরবতের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। টাটকা অ্যালোভেরা যদি হাতের কাছে পেতে চান, তাহলে টবেই লাগিয়ে ফেলতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরার একটি পাতা থেকেই হবে গাছ। খুব বেশি যত্নআত্তিরও প্রয়োজন নেই এই গাছের। বারান্দায় অ্যালোভেরা লাগাতে চাইলে কিছু বিষয় জেনে নিন।
১। টবে লাগানোর জন্য কয়েকটি অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করুন। লক্ষ রাখবেন যেন নিচের দিকের সাদা অংশটি থাকে পাতার সঙ্গে। এবার সাধারণ মাটির মাঝে গর্ত করে বসিয়ে দিন অ্যালোভেরার পাতা। পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন মাটি। শেকড় গজাতে শুরু করলে বড় পাত্রে সরিয়ে দিতে পারেন পাতা। চাইলে একবারেও বড় টবে লাগাতে পারেন।
২। আরেকটি উপায়ে অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ গজাবে। অ্যালোভেরার পাতা মাঝখান থেকে কেটে নিন ধারাল ছুরির সাহায্যে। দুই সপ্তাহ উষ্ণ স্থানে রেখে দিন পাতা। বাদামি রঙ হয়ে আসলে টবে লাগান। তবে নিচে যেন ছিদ্র থাকে সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
৩। টবে লাগানোর আগে ঝরঝরে মাটি দিয়ে দিন টবে। মাটির মাঝে অ্যালোভেরার পাতা গুঁজে পানি দিয়ে দিন। এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সরাসরি রোদ আসে। পানি দিতে হবে প্রতিদিন। ৪ সপ্তাহের মধ্যেই বাড়তে শুরু করবে অ্যালোভেরা গাছ।
অ্যালোভেরার শিকড় খুব গভীরে যায় না। ফলে লম্বাটে টবের দরকার নেই। বড় পাতাগুলি যেন সুবিধামতো নিজেদের মেলে ধরতে পারে সেজন্য বড় মুখের টবে গাছ লাগান।
অ্যালোভেরার গাছের বেড়ে ওঠার পথে রোদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যাপ্ত রোদ আসে এমন জায়গায় গাছ রাখুন। রোদ না পেলে গাছ বড় হতে পারবে না।
অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করতে পারেন। সার তৈরির জন্য ৪/৫টি ডিমের খোসা চূর্ণ করে নিন। মুঠোভর্তি আলুর খোসা, কয়েকটি কলার খোসা ও ডিমের খোসা দেড় লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাত্র ঢেকে রাখবেন। ৩ দিন পর ফেনা উঠে গেলে মিশ্রণটি ছেঁকে পানি আলাদা করুন। অ্যালোভেরা গাছে প্রতি ১৫ দিন পর পর এই পানি দিন।
গাছের ছোট ছোট পাতা ছেঁটে ফেললে দ্রুত বাড়বে।