আপনার ভিটামিন ডির ঘাটতি রয়েছে। বর্ষাকালে এ ঘটতি পূরণ করা মুশকিল। কারণ বর্ষাকালে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। যার ফলে এই ঋতুতে ভিটামিন ডির ঘাটতি হতে পারে। সে কারণে দেখা দিতে পারে একাধিক জটিলতা। তাই পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ার আগেই কয়েকটি খাবার খেয়ে এই ভিটামিনের ঘাটতি মিটিয়ে নিন।
ভিটামিন ডির প্রধান উৎস হচ্ছে হাড়ের গঠন কাঠামো ঠিক রাখা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন— হাড়ের গঠন থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বৃদ্ধিসহ একাধিক জরুরি কাজ করে ভিটামিন ডি। আর সূর্যের তাপ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিনের মূল উৎস। সূর্যরশ্মি গায়ে এসে পড়লেই শরীরে তৈরি হয় এ ভিটামিন।
বর্ষায় সূর্যের দেখা না পাওয়ার কারণে শরীরে হতে পারে ভিটামিন ডির ঘাটতি। আর সে কারণে ফ্যাটি ফিশের ওপর রাখুন ভরসা। গবেষণায় দেখা গেছে— স্যালমন, ম্যাকারেলে ও টুনার মতো মাছে রয়েছে বেশ কিছুটা ভিটামিন ডি। শুধু তাই নয়, এসব মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। যে কারণে এসব মাছ খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
এ ছাড়া ডিমের কুসুমও ভিটামিন ডির ঘাটতে সেরার সেরা। ভিটামিন ডির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলে নিয়মিত ডিমের কুসুম খেতে ভুলবেন না। তবে উপকার পেতে চাইলে ডিম সিদ্ধ করে খাবেন। এর পোচ, হাফ বয়েল বা অমলেট করে খেলে তেমন একটা উপকার পাবেন না।
আপসি ফর্টিফায়েড ডেইরি প্রোডাক্টের শরণাপন্ন হতে পারেন। কারণ আজকাল প্যাকেটজাত দুধ, ছানা, দই, পনিরে বেশ কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন ডি মিশিয়ে দেওয়া হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত প্যাকেটজাত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
আপনি মাশরুমও খেতে পারেন। এই মাশরুম নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাবেন। এমনকি এতে মজুত ভিটামিন ডির গুণে শরীর থাকে সুস্থ ও সবল। তাই আজ থেকেই নিয়মিত মাশরুম খাওয়া চালু করুন।
এ ছাড়া ভিটামিন ডির সমস্যা সমাধানে গরু, মহিষ কিংবা ছাগলের দুধ খেতে পারেন। কারণ নিয়মিত এসব পানীয়ে চুমুক দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বি. দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।