সহজেই কোলেস্টেরল কমবে যে পানীয়তে, সুস্থ থাকবে হার্ট
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে যে অসুখগুলো সবচেয়ে বেশি হয় তার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া অন্যতম। একবার কোলেস্টেরল ধরা পড়লে শুরু থেকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই সমস্যা যদি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়, তা হলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কোলেস্টেরলের রোগীদের নিজেদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে ফাস্টফুড এড়িয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে ঘি মাখন এবং চিজের থেকেও দূরত্ব বাড়ান। তার বদলে ডায়েটে জায়গা করে দিতে পারেন কয়েকটি উপকারী পানীয়কে। তাতেই কোলেস্টেরল লেভেলকে অনায়াসে বশে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নিই সেই পানীয়গুলো সম্পর্কে—
গ্রিন টি
সবুজ চা বা গ্রিন টি হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। বিশেষত, এই পানীয়ে ক্যাটেচিনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এই উপাদান টোটাল কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার করে। তবে লাভ পেতে চাইলে এই চায়ে দুধ বা চিনি মিশিয়ে খাওয়া চলবে না।
সয়া মিল্ক
দুধ বলতে আমরা কেবল গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধের কথা বুঝি। তবে এগুলো ছাড়া আরও এক অমৃত দুধ রয়েছে। আর তা হল সোয়াবিনের মিল্ক। তাই সারা পৃথিবীতেই এই দুধের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
আসলে অন্যান্য দুধের তুলনায় এতে খুবই কম পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। তার বদলে এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত সোয়াবিনের দুধ খেলে কমে কোলেস্টেরল। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকে হার্ট। তাই আপনার ডায়েটে আজ থেকেই এই পানীয়কে জায়গা করে দিন।
ওটসের ড্রিংক
ওটসে রয়েছে বিটা গ্লুকান নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান কোলেস্টেরল লেভেলকে বশে আনতে সাহায্য করে। যেই কারণে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ওটস থেকে তৈরি হওয়া দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে আমাদের দেশে এই পানীয়ের খুব একটা বেশি চাহিদা নেই। তাই একান্তই যদি এই পানীয়ের খোঁজ না পান, তাহলে রোজ শুধু ওটস খান। আশা করছি, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। একাধিক রোগ কাছে ঘেঁষবে না।
টমেটো জুস
জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আমাদের অতি পরিচিত টমেটোর জুস করে খেলেও অনায়াসে কোলেস্টেরলকে বশে আনতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল নিউজ টুডে জানাচ্ছে, এই পানীয়ে চুমুক দিলে শরীরে প্রবেশ করে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান। যার ফলে কমে কোলেস্টেরল। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ফাইবার এবং নিয়াসিনের গুণে লিপিড লেভেলকে বশে রাখা যায়। তাই আপনার রোজের ডায়েটে অবশ্যই টমেটোকে জায়গা করে দিন।
বেরির রস
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরির মতো ফল হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। যেই কারণে এসব ফলের রস করে খেলে কমে কোলেস্টেরল।
তবে বাজারে চলতি বেরির জুস কিনে খেলে তেমন একটা লাভ পাবেন না। বরং এসব ফল কিনে এনে তার জুস বানান। এরপর তাতে চুমুক দিন। ব্যস, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।