চুলের সৌন্দর্য অটুট রাখতে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে আঁচড়ানোও জরুরি। নাহলে চুলে জট পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। চুলের গোড়ায় ময়লা জমে এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকঠাক হয় না। তাই দিনে কয়েকবার সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
চুল পড়া কমাতে যেমন স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ঠিক তেমনই চিরুনিও নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। আপনি যদি প্রতিদিন নোংরা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান, তাহলে চুলের ক্ষতি হবে। এমনকি অতিরিক্ত মাত্রায় হেয়ার ফল হতে পারে। স্ক্যাল্পে হানা দিতে পারে নানা সংক্রমণও।
চিরুনি পরিষ্কার রাখুন
চুলের সুস্বাস্থ্য অটুট রাখতে পরিষ্কার-ঝকঝকে চিরুনি ব্যবহার করতেই হবে। তাই প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে চিরুনি পরিষ্কার করতে হবে আপনাকে। এখন প্রশ্ন হল, চুল ভালো রাখতে ব্যবহারের চিরুনি ঠিক কতদিন অন্তর পরিষ্কার করা প্রয়োজন? একে একে জেনে নিন…
কতদিন অন্তর চিরুনি পরিষ্কার করবেন?
কাঠের বড় চিরুনি- এই ধরনের চিরুনির দাঁতে ময়লা পড়ার আশঙ্কা কম থাকে। তাই প্রতি সপ্তাহে এটি পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। মাসে একবার ক্লিনিং করলেই কাজ হবে।
কাঠের সরু দাঁতের চিরুনি- সরু দাঁতের চিরুনিতে তাড়াতাড়ি ময়লা জমে। তাই প্রতি ১৫ দিন অন্তর সেটি পরিষ্কার করুন।
ফাইবারের রেগুলার চিরুনি- এরকম চিরুনি কম বেশি সকলেই ব্যবহার করেন। এগুলিতে তাড়াতাড়ি ময়লা জমে। তাই দিন ১৫ অন্তর এই ধরনের চিরুনি পরিষ্কার করে নিন।
বড় দাঁতের চিরুনি- জট ছাড়াতে এই ধরনের চিরুনি বেশ কাজে আসে। কিন্তু এমন চিরুনিতে ময়লা জমে কম। তাই মাসে একবার পরিষ্কার করলেই কাজ হবে।
অনেকেই হেয়ার ব্রাশ এবং রোলার ব্যবহার করেন। আর এগুলি পরিষ্কার করা সবচেয়ে কঠিন। আর এগুলিতে ময়লা পড়ার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি। তাই ২০ দিন অন্তর হেয়ার ব্রাশ কিংবা রোলার পরিষ্কার করে নিন।
চিরুনি পরিষ্কার করবেন কি ভাবে?
একটি পাত্রে ঈষদুষ্ণ জল নিন। তার সঙ্গে মেশান লিকুইড সোপ। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু এবং বডিওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন। সাবান মেশানোর পরে চিরুনি জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট। তারপর জল থেকে তুলে পুরনো ব্রাশ দিয়ে চিরুনির দাঁত ভালো ভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। ময়লা দূর হবে। তারপর সেই চিরুনি পরিষ্কার জলে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। মিনিট ১৫ রোদে রাখুন। তারপর তুলে ড্রেসিং টেবিলে রেখে দিন।
চুল আঁচড়ান সঠিক নিয়মে
পরিষ্কার চিরুনি দিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার চুল আঁচড়ান। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পাবে। চুল পড়া অনেকটা কমে যাবে। তবে এর চেয়ে বেশি হেয়ার ব্রাশ করবেন না। তাতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হবে।