ফাইল ছবি
বৃষ্টি মানে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। রাস্তাঘাটে বের হলে কাদা আর নোংরা পানি। এই সময় সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় জুতা নিয়ে। বৃষ্টির পানি, জীবাণু এবং ঘামের মিশ্রণে জুতার ভিতরের হাল হয়ে ওঠে আরও বেহাল। দুর্গন্ধ তো বটেই জুতার মানও খারাপ হতে থাকে।
জুতা না ভিজলেও আর্দ্রতায় আমাদের পা ঘামে। এই ঘামেও জুতার মধ্যে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দেখা দেয়। কখনও কখনও হয় বাজে গন্ধ।
জুতা ভিজলে চেষ্টা করুন খবরের কাগজ বা টিস্যু দিয়ে রাখতে। তাহলে আপনার জুতার ভেতরের আর্দ্রতা শুষে নিবে, তাহলে ছত্রাক ধরার ভয়ও থাকবে না। বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চাদের জুতায় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই বৃষ্টির এই সময় জুতার চাই বাড়তি যত্ন।
জুতায় কাদা লাগলে একটা ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে এর সঙ্গে সামান্য ডিটারজেন্টও নিতে পারেন। টুথপেস্ট দিয়ে জুতা ভালো পরিষ্কার হয়।
হিল জুতা হলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। জুতা শুকোতে কখনও রোদে দেবেন না। এতে জুতা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। দুর্গন্ধ দূর করতে জুতার মধ্যে গ্রিন টি ব্যাগ রেখে দিন। জুতা পরার আগে পরিষ্কার মোজা পড়ুন। চামড়ার জুতা কুঁচকে যাওয়া বা ফ্যাকাসে হওয়া থেকে রক্ষা করতে লেদার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
বৃষ্টির সময় মনসুন ফুটওয়ার পরতে পারেন। একই জুতা প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না। বাড়ি ফিরে জুতা বাক্সে তুলে রাখবেন না। আগে পরিষ্কার করুন, শুকনো হলে ক্যাবিনেটে তুলুন।
জুতা ক্যাবিনেট কাঠের হলে বৃষ্টির দিনে বর্ষায় ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণের মুখে পড়ে। কড়া রোদ বা ড্রায়ার দিয়ে কখনও চামড়ার জুতা শোকাবেন না। বাইরে থেকে তাপ দিলেই চামড়ার নিজস্ব তৈলাক্ততা ক্রমশ শুকাতে আরম্ভ করে।
ফলে জুতা শক্ত হয়ে যায়। বাইরের স্তরে ফাটলও দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে ভালো উপায় সারা রাত ফ্যানের নিচে রেখে দিন। খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার জুতার মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। সেগুলি বাড়তি পানি শুষে নেবে।
ক্যানভাসের জুতা পরিষ্কার করতে ডিটার্জেন্ট এবং বেকিং সোডার মিশ্রণ বেশ কার্যকর। এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে দেড় চামচ ডিটার্জেন্ট পানির সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার প্রথমে পানি দিয়ে ভিজিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ঘষে ময়লা তুলে নিন।
ভেজা জুতা থেকে বাজে গন্ধ হয়। এই গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। একটি ছোট কাপড় ভিনেগারে ভিজিয়ে জুতার ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।