ছবি : সংগৃহীত
সোমবার বাংলাদেশে উদ্যাপন হল পবিত্র ঈদুল আজহা। এদিন সারাদেশেই কুরবানি হয়েছে পশু। কুরবানির ঈদ মানেই বিভিন্ন রকমের পশু কুরবানি দেওয়া। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কুরবানি হয় গরু। যার কারণে সকলের ঘরেই কম বেশি গরুর মাংস রান্না হয়। হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে অনেকেই চেষ্টা করেন না খাওয়ার বা কম খাওয়ার। তবে নিয়ম মেনে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও খেতে পারেন গরুর মাংস।
গরু মাংসে অধিক চর্বি থাকে। তাই চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ শরীরে হঠাৎ চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
আর তাই হার্ট ও উচ্চরক্তচাপের রোগীদের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
যেভাবে রান্না করবেন মাংস
১. গরু মা খাসির মাংসগুলো যতটা সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। তাহলে তেলজাতীয় পদার্থ ঝরে যাবে। আর চর্বি সব ফেলে দিয়ে কাটুন।
২. মাংস সবসময় অল্প তেলে রান্না করুন। কারণ গরুর মাংসের নিজস্ব যে তেল আছে; তাতেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়। সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
৩. বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে গরুর মাংস রান্না করুন। আলু, পেঁপে, পটল ইত্যাদি দিয়ে গরুর মাংস রান্না করা যেতে পারে। এতে করে স্বাদে বৈচিত্রের পাশাপাশি পুষ্টিও যোগ হবে।
৪. হৃদরোগীদের জন্য মাংস রান্না করার সময় সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে কম তেলে রান্না করতে হবে। এতে স্বাদ কম হলেও এটি স্বাস্থ্যকর।
৫. মাংস রান্নায় ঘি অথবা ডালডা ব্যবহার না করাই শ্রেয়। বরং ফ্যাট কমাতে ভিনেগার, লেবুর রস অথবা টক দই দিয়ে মাংস রান্না করুন। এতে করে মাংস দ্রুত রান্নাও হবে।
৬. মাংস রান্নার পর কিছুক্ষণ রেখে দিলে উপরে চর্বির আস্তরণ জমে যায়। পরে এগুলো চামচ দিয়ে ফেলে দিন।
৭. মাংস খাওয়ার সময় সঙ্গে সালাদ রাখুন। এছাড়া ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, মাশরুম বা পছন্দের সবজি দিয়ে মাংস রান্না করতে পারেন। এতে কম পরিমাণ মাংস খাওয়া হবে।
৮. গরুর মাংস ভুনা না করে তেল ছাড়া বেক, গ্রিল, স্টেক করে খেতে পারলে ভালো। সেখানে চর্বি প্রায় থাকে না বললেই চলে।