প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অনেকের অতিরিক্ত ঘামের কারণে শর্দি লেগে যায়। এই সময়ে সুস্থ থাকতে হলে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম ঠিক রাখা জরুরি।
শরীরের সুস্থতার জন্য এন্টি অক্সিডেন্ট প্রয়োজন। ভিটামিন সি যুক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি দেহের এমন কিছু প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত, যার সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও ভিটামিন সি খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে গ্যাস্ট্রিক ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দৈনিক ভিটামিন সি এর মাত্রা
চিকিৎসকরা বলছেন, রোজ ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা যেতে পারে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর জন্য ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন। তবে স্তন্যপান করানো মায়েদের জন্য পরিমাণে কিছুটা বেশি (হতে পারে ১০ বা ২০ গ্রাম) ভিটামিন সি খাওয়া দরকার।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
লেবু ও লেবুজাতীয় ফল ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙুর, আনারস, কাঁচা আম, জাম্বুরা, পেঁপে, কলা জাম ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া কাঁচা মরিচ, ব্রকলি, সবুজ শাক-সবজি, ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, পুদিনাপাতায় ভিটামিন সি থাকে।
কখন ও কীভাবে খাবেন
টকজাতীয় ফল ভরাপেটে খাওয়া ভাল। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সেই অনুযায়ী লেবু, মালটা, আনারস, জাম্বুরা, কাঁচা আম, আঙুর, কমলা ইত্যাদি খেতে হবে ভরাপেটে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন সি কেন খাবেন?
আর ভিটামিন সি যুক্ত সবুজ শাক-সবজি অল্প তাপে সেদ্ধ করতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত তাপে ও অনেকক্ষণ ধরে সেদ্ধ করলে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
কাজ
এটি ত্বকের মসৃণতা, উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। যদি শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব হয়, তাহলে সি ভিটামিন ক্ষয় হয়। এটা দেহের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। অত্যধিক ভিটামিন সি খেলে প্রস্রাবে অক্সালেট বেড়ে গিয়ে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হয়। কঠোর ব্যায়ামের পর ভিটামিন সি যুক্ত পানীয় ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়। যে গাছে সূর্যের আলো পড়ে, সে গাছের ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে।
মিথ
কারও কারও ধারণা কোনো স্থান কেটে গেলে বা অপারেশনের পরে টকযুক্ত ফল খেতে হয় না। এতে নাকি ঘা সহজে শুকায় না। এটা একেবারে ভ্রান্ত ধারণা।