গোলাপফুলে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও তেল ত্বকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই ফুল। ত্বক শীতল রাখার পাশাপাশি গোলাপের ভেষজ গুণ ত্বকে নিয়ে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ঠোঁটের যত্নেও গোলাপের স্ক্রাব ও ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্ব গোলাপ দিবসে জেনে নিন উপকারী ফুলটি দিয়ে কীভাবে রূপচর্চা করবেন।
তাজা গোলাপের পাপড়ি সংগ্রহ করে গোলাপজলে ভিজিয়ে রাখুন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এর পর থেঁত করে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ত্বক ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: যে ৮ উপায়ে গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব
গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এর সঙ্গে মেশান মোটা দানার চিনি, নারিকেল তেল ও মধু। মিশ্রণটি ঠোঁটে ঘষুণ দুই মিনিট। ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে।
সামান্য পানি মিশিয়ে ৮টি গোলাপের পাপড়ি বেটে নিন। এবার অল্প দুধ ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপ থেকে পাপড়ি খুলে ধুয়ে নিন। এর পর ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। পাপড়ি সাদাটে হয়ে গেলে ও পানি রঙিন হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে বোতলে রেখে দিন ঘরে তৈরি গোলাপজল। এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
ব্লেন্ডারে খানিকটা ওটস গুঁড়া করে নিন। পরিমাণমতো গোলাপের পাপড়ির পেস্ট ও বেসন মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। নির্জীব ত্বকে ফিরবে প্রাণ।
রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন গোলাপের পাপড়ি। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ির গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
গোলাপফুলের পাপড়ি ছেঁচে কাঁচা দুধ ও বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে ছেঁচে নিন। ডাবল বয়লার পদ্ধতিতে গরম করুন মিশ্রণটি। এর পর চেপে চেপে তেল বের করে লিপবামের বয়ামে করে ফ্রিজে রেখে দিন। ১ ঘণ্টা পর বের করে নেড়ে মিশিয়ে আবারও ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে ঠোঁটের যত্নে ব্যবহার করুন লিপবাম।