Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

আপনি কি সিঙ্গেল, যা করতে পারেন ভালোবাসা দিবসে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ এএম

আপনি কি সিঙ্গেল, যা করতে পারেন ভালোবাসা দিবসে

প্রকৃতিতে ফাল্গুনের হাওয়া, বাতাসে বসন্তের উন্মাদনা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।

একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেমিশে একাকার। শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে যুগলদের ছড়াছড়ি বইমেলা, ক্যাম্পাস বা পার্ক আর রাস্তায়। ফলে সিঙ্গেলরা কিছুটা মলিন হয়ে বসে আছে।   

আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ঠিক কত হওয়া উচিত?

এদিকে ভালোবাসা দিবস আসার সঙ্গে সঙ্গে সিঙ্গেল লোকজনের হাহাকারে সিক্ত হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ভ্যালেন্টাইনের দিন তো অনেকে বলেই বসেন— এ বছরেও এই দিনে সিঙ্গেল, এই জীবনের কী মানে? অথচ সিঙ্গেল থাকা মানে জীবনের শেষ নয়, এমনকি সিঙ্গেল থাকা মানে ভ্যালেন্টাইনও শেষ নয়; বরং চমৎকার কিছু

কাজের মাধ্যমে আপনিও দিনটাকে করে তুলতে পারেন সুন্দর ও আনন্দময়।

সিঙ্গেল বন্ধুদের নিয়ে পার্টি

বলা হয়ে থাকে, বন্ধু ফেল করলে কষ্ট লাগে। কিন্তু বন্ধু প্রথম হলে আরও বেশি খারাপ লাগে। তাই এই কয়েক দিন যে কোনো মূল্যে প্রেমের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন; বরং আপনার মতোই সিঙ্গেল বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা বাড়িয়ে দিন। ভ্যালেন্টাইন দিবসে সিঙ্গেল বন্ধুদের নিয়ে একটা পার্টির ব্যবস্থা করুন। এতে আপনাদের কারোরই আর ভ্যালেন্টাইনের দিন একা একা লাগবে না।

ফেসবুক বন্ধ রেখে বই পড়ুন

ভ্যালেন্টাইনে একা একা লাগার আরও একটি বড় কারণ হলো— ফেসবুকে অন্যদের যুগল ছবি দেখা; বরং অন্তত এই দিন বা সম্ভব হলে কয়েকটা দিনের জন্য ফেসবুক থেকে ছুটি নিয়ে নিন। হাতে তুলে নিন পড়ব পড়ব করেও পড়া না হওয়া চমৎকার কোনো বই। এতে একদিকে আপনার বই পড়ার অভ্যাস হলো, অন্যদিকে ভ্যালেন্টাইনের রঙবেরঙের ছবি দেখে আর হাহুতাশও করতে হলো না!

সিনেমা দেখুন তবে রোমান্টিক নয়

ভ্যালেন্টাইনের দিনটাকে চাইলে মুভি দিবসও ঘোষণা করতে পারেন বা সারা দিনে লম্বা সিরিজটা দেখে ফেলতে পারেন। তবে সাবধান, বেশি রোমান্টিক সিনেমা আবার আপনাকে একাকিত্বের সাগরপাড়েই টেনে নিয়ে যাবে।

বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে ভালোবাসুন

ভালোবাসা দিবসে যে শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকাকেই ভালোবাসতে হবে— এ কথা কে বলেছে? বরং কাছের বন্ধু বা পরিবারের লোকজনের কাছেও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। পাঠাতে পারেন ছোট ছোট উপহার। এতে তারা যেমন খুশি হবে, আপনাদের বন্ধনও সুন্দর হবে অনেকখানি। অনেক দিন ফোন করব করব করে করা হয় না, এমন বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের ফোন করুন।

গরিব–দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান

ভালোবাসা দিবসে খুব একা একা লাগছে? করার মতো কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না? আশপাশের পথশিশুদের কিছু খাবার বা বেলুন কিনে দিন। গরিব রিকশাওয়ালাকে একবেলা পেট ভরে খাওয়ান বা রাস্তার শিশুদের নিয়েই কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে বসে যান। দেখবেন আপনার ভ্যালেন্টাইন হয়ে উঠেছে আর দশজনের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর।

রেস্টুরেন্ট বা শপিংমলকে বোকা বানান

ভ্যালেন্টাইন উপলক্ষ্যে রেস্টুরেন্ট বা শপিংমলে নানা কিসিমের যুগল অফার দেয়। আপনি সিঙ্গেল তো কী হয়েছে? আপনার মতোই আরেকজন সিঙ্গেল বন্ধু খুঁজে বের করে ওই অফারে খাওয়াদাওয়া বা কেনাকাটা করে আসেন। মা–বাবাকে নিয়েও শপিংয়ে বের হতে পারেন। কেনাকাটা শেষে খাওয়াদাওয়া করে ঘরে ফিরলেন! একদিকে কম টাকায় খাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে যুগলদের জন্য অফার সিঙ্গেল হয়েও নিজে সেই সুবিধা নেওয়ার আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।

জমে থাকা কাজগুলো করে ফেলুন

ওপরের কোনো কিছুই ভালো না লাগলে ভ্যালেন্টাইনের কথাটাই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। ফেসবুক বন্ধ করে দৈনন্দিন সব কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। জমে রাখা কাজগুলো করে ফেলুন। ঘর গোছানো, বাথরুম পরিষ্কার, খাবার রান্না করা বা বইয়ের তাক গোছানো ও গাছে পানি দেওয়ার মতো কাজ করতে করতে কখন যে ভ্যালেন্টাইন পার হয়ে যাবে, টেরই পাবেন না।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম