ফাইল ছবি
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ফেস অয়েল। ত্বকের লাবণ্য ও বয়স ধরে রাখতে ফেস অয়েল খুব ভালো কাজ করে। এই তেল ত্বকে ময়শ্চারের জোগান দেয়। ত্বকের বলিরেখা, চোখের তলার কালি দূর করে।
তবে এ ধরনের তেলের দাম বেশি হয়। তাই নিজের ত্বকের প্রয়োজন বুঝে ফেস অয়েল কিনতে হবে।
ফেস অয়েলের কাজ কী?
আরও পড়ুন: তারুণ্যে যেসব সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত
সাধারণত ত্বককে ময়শ্চারাইজ় করতেই ফেস অয়েল ব্যবহার করা হয়। আর ভালো লিপ বাম, আন্ডারআই ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে মেকআপ তুলতে বা মেকআপ টাচআপ করতেও কাজে লাগে। সে ক্ষেত্রে মেকআপ শুরুর আগেই কয়েক ফোঁটা ফেস অয়েল আঙুলের ডগায় নিয়ে ভালো করে পুরো মুখে মেখে নিন। এতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। ত্বকেও ঔজ্জ্বল্য আসবে।
কোন ত্বকে কী তেল?
ত্বক বুঝে তেল ব্যবহার করতে হবে। এমন অনেক তেল আছে, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ত্বকের সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত করে তৈলাক্ত ভাব কমায়। নিজের ত্বকের প্রয়োজন বুঝ তেল ব্যবহার করুন।
১. ত্বক শুষ্ক হলে ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে বা গ্রেপসিড মূলত অ্যাস্ট্রিনজেন্টের মতো কাজ করে। তাই শুষ্ক ত্বকে এমন তেল লাগাতে হবে, যাতে ওলেইক অ্যাসিড আছে। এ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকে ময়শ্চার বজায় রেখে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। যেমন মারুলা অয়েল।
২. মারুলা অয়েলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় তা ত্বকের পক্ষে বেশি স্বাস্থ্যকর। আরও আছে আমন্ড অয়েল। এই তেলও হাইড্রেটিং। আবার ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ।
আর আছে অ্যাভোকাডো অয়েল। এই তেল ভিটামিন ই, লেসিথিন এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে ময়শ্চারাইজ় করার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি জোগায়। ত্বকের এপিডার্মিসে এই তেল শোষিত হয় সহজেই।
৩. এমন তেল মাখাই ভালো, যার গুণাগুণ বেশি। আর্গন অয়েলে ভিটামিন ই থাকায় তা ত্বকের দাগছোপ, বলিরেখা দূরে রাখতে সক্ষম।
৪.স্পর্শকাতর ত্বকে কোনো তেল ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। কিছুটা তেল লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে দেখুন, কোনো ইরিটেশন হচ্ছে কিনা। তার পরে তা ব্যবহার শুরু করুন।
ত্বকের ধরন বুঝে তেল কিনুন। একাধিক তেল একসঙ্গে মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। তবে ফেস অয়েল বেশি ঘষবেন না। হালকা হাতে পুরো মুখে লাগান।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা