‘সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ব্যাপক আয়োজনে পালিত হলো ‘টোটাল ফিটনেস ডে’।
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চার দিকের ফিটনেস নিয়ে যথাযথ সচেতনতা তৈরি করাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। এ বছর থেকে জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার টোটাল ফিটনেস ডে পালন করা শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কোয়ান্টাম। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজনে ছিল যোগ ব্যায়াম, শারীরিক ভারসাম্য পরীক্ষা বা বডি ব্যালান্স টেস্ট, বৃক্ষাসন, বঙ্গাসন, সচেতনতামূলক বুলেটিন-ব্রোশিউর বিতরণসহ আলোচনা, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন। এতে যোগ-ধ্যান চর্চাকারী স্বাস্থ্য সচেতন সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, শিল্পী, নাট্যকর্মী, শিক্ষার্থীসহ সমাজের নানা পেশার মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ইয়োগা-অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করে বান্দরবান লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে নাট্য নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, বর্তমান সময়ের উদ্বিগ্নতা টেনশন দূরীকরণে মেডিটেশন বা ইয়োগার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি একজন মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব পালনে শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক সব দিক থেকে ভালো থাকা প্রয়োজন। এজন্যে মেডিটেশনের বিকল্প নেই।
নাট্যকর্মী মোমেনা চৌধুরী বলেন, শারীরিক মানসিক সুস্থতার জন্যে নিয়মিত ইয়োগা ও মেডিটেশনের চর্চা খুবই ফলপ্রসূ। এ চর্চার মাধ্যমে অভিনয়ও সহজ হয়ে যায়। টোটাল ফিটনেসের নতুন এ ধারণা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে অডিওর মাধ্যমে দেশবাপী শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মাদাম নাহার আল বোখারী। সচেতনতামূলক সেশনগুলোতে কোয়ান্টাম মেথডের প্রবক্তা শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের কণ্ঠে প্রচারিত হয় বিশেষ আলোচনা ও মেডিটেশন। সেখানে দেশ ও মানুষের কল্যাণ কামনা করা হয় এবং টোটাল ফিটনেস অর্জনের জন্যে সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।