
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ এএম
পিলখানা বিদ্রোহ: ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ ৮ মে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম

আরও পড়ুন
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ তারিখ এজাজের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এজন্য মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ হয়নি। এ নিয়ে চারবার জামিনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছাল।
এর আগে গত ১৩ মার্চ আসামিদের জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ১৬ মার্চ আদেশের জন্য রাখেন। তবে ওইদিন আদেশ পিছিয়ে ১৭ মার্চ ফের আদেশের জন্য রাখা হয়। পরবর্তীতে ওইদিন আদেশ না দিয়ে ১০ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সবমিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।