৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৪৫০ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মো. ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে গোদাগাড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাগুলো দায়ের করেছেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
প্রথম মামলায় ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৫৭ ব্যাংক হিসাবে ৪৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় ওমর ফারুক চৌধুরীর স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর নামে ২ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নিজ নামীয় ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার প্রমাণ মিলেছে।
সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ হস্তান্তর রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন। যে কারণে দ্বিতীয় মামলায় স্বামী ও স্ত্রী দুজনকেই আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর চতুর্থ মামলায় তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।