জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান
৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের তিনজন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এ আদেশ দেন।
তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- রাজধানীর মিরপুর বিভাগের সাবেক এডিসি মইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় চঞ্চল চন্দ্রকে। আর দুপুরে আনা হয় মইনুল ইসলাম ও আরশাদ হোসেনকে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল আরশাদ হোসেনের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ২৪ মার্চ মইনুল ইসলাম ও চঞ্চল চন্দ্রের মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ। পরে সাংবাদিকদের গাজী তামিম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চাঁনখারপুলে একজন ছাত্রকে মুখ চেপে ধরার ছবি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন আরশাদ। আর রাজধানীর রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ১৮ বছর বয়সি এক কিশোরকে বারবার গুলি করা হচ্ছিল। সেই গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন চঞ্চল চন্দ্র সরকার।
প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এডিসি মইনুল মিরপুরের দায়িত্বে ছিলেন। সেসময় মিরপুরে অনেক অপরাধ হয়েছে। সেসব অপরাধে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ৩০ জনের মতো আসামি কারাগারে আছেন। আর ট্রাইব্যুনাল ১০৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।