Logo
Logo
×

আইন-বিচার

সলঙ্গা গণহত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ হাইকোর্টের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০১:৩১ এএম

সলঙ্গা গণহত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ হাইকোর্টের

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্রিটিশ পুলিশের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে সলঙ্গা গণহত্যা দিবস, ২৭ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি  দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।  

১১ জন আইনজীবী হলেন- মো. আসাদ উদ্দিন, মো. কাওসার আলী, মো. বদরুদ্দোজা বাবু, মো. গোলাম হাসনায়েন, মো. হারুনর রশিদ, মো. গোলাম কিবরিয়া, রোকসানা সুলতানা, জহিরুল হক কিসলু, ব্যারিস্টার মো. আব্দুল বাতেন শেখ, মো. হেকাম আলী শিমুল ও মো. মোরশেদুল ইসলাম। এরা সবাই সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা।

আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল সলঙ্গা হাটের দিন। সেদিন যুবক আব্দুর রশিদের (যিনি বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ’ নামে পরিচিত) নেতৃত্বে সলঙ্গা হাটে চলতে থাকে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের প্রচারাভিযান। ‘বিলেতি পণ্য বর্জন কর, এ দেশ থেকে ব্রিটিশ হটাও’-স্লোগানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচারাভিযান যখন তুঙ্গে তখন কংগ্রেস অফিস থেকে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেদিন ব্রিটিশ বেনিয়াদের নৃশংসতার এক রক্তাক্ত অধ্যায় বিরচিত হয় সলঙ্গায়।  

সেদিনের সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে সলঙ্গার মাটি মানুষ এবং গৃহপালিত পশুর রক্তে ভেসে যায়। নিহতদের লাশ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় সিরাজগঞ্জের রহমতগঞ্জে। সেখানে তৈরি করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ‘গণকবর’। আজও সে ‘গণকবর’ সলঙ্গার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। এছাড়া হোসেনপুর, বাসুদেবকোলসহ সলঙ্গার বিভিন্ন জায়গায় নিহতদের কবরস্থ করা হয়।

আসাদ উদ্দিন বলেন, সলঙ্গা বিদ্রোহের বয়স একশ বছর পার হয়েছে। এত বছর পরও দিবসটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা ও লজ্জার বটে। তাই একজন সলঙ্গাবাসী এবং সচেতন নাগরিক হিসাবে বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এ রিটটি দায়ের করা হয়।

রিটের বিবাদীরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংস্কৃতি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম