এই প্রথম লোহার খাঁচায় কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হলো: ড. ইউনূস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০১:২১ এএম
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এই প্রথম লোহার খাঁচায় কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হলো। এটা দেখার মতো একটা দৃশ্য। এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে, লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে আছি আদালতের কাঠগড়ায়। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ।’
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ অর্থ আত্মসাৎ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে ঢুকে এজলাসের বেঞ্চে বসেন ড. ইউনূস। এরপর আদালত থেকে ড. ইউনূস ছাড়া বাকি আসামিদের ডগে (কাঠগড়া) যেতে বলা হয়। ড. ইউনূস সবার সঙ্গে লোহা দিয়ে ঘেরা কাঠগড়ায় স্বেচ্ছায় গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে তিনি তিন মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর বিচারক সবাইকে কাঠগড়া থেকে বের হতে বললে ড. ইউনূস কাঠগড়া থেকে বের হন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘দুটো নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। একটা আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নাই যে, এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ী মামলা করেছে, দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হয়েছে, এটা অভিশাপের একটা অংশ। এই অভিশাপ আমরা বহন করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগ করল, যে অভিযোগের ভিত্তি নেই। যে জিনিস দিয়ে দিয়েছিলাম, সেটার জন্যই আমাকে অভিযুক্ত করা হলো যে, অনেক টাকা মেরে দিয়েছি ইত্যাদি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কোনো নিস্তার নেই, একটার পর একটা চলছে। অভিশপ্ত জীবনের একটা বড় পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।’