অনন্ত জলিল ও তার স্ত্রীর নামে প্রতারণার মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
প্রতারণার অভিযোগে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল (এমএ জলিল), তার স্ত্রী এবং তার কোম্পানি পলো নিট ইন্ডাস্ট্রিসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় অনন্ত জলিল ছাড়াও তার মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি, তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজিব মাহমুদ আলম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনজীবী সজিব বলেন, তাদের (অনন্ত জলিল) কোম্পানি আমাদের (বাদী পক্ষ) কাছ থেকে বড় অর্ডারের কথা বলে কাজ করিয়ে নিয়েছে। দুইটা অর্ডারের টাকা মিলিয়ে তাদের কাছে প্রায় ৩৩-৩৪ লাখ টাকা পাওনা। নামে মাত্র যে এলসি করেছে সেখান থেকেও ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। অনন্ত জলিলসহ তাদের বিষয়টি জানালে তারা আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছেন। এর আগে তাদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি কিন্তু তারা কোনো জবাব দেননি। তাই নিরুপায় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেয়। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন ও এলসির মাধ্যমে টাকা দিবেন বলে জানান এবং আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরবর্তীতে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।
আরজিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও (যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ২শ ডলার) পরিশোধ করেনি।