বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে এই উন্নতি হতো না: প্রধান বিচারপতি
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘আমার জন্মস্থান মোহনগঞ্জ। ছোট বেলায় আমার নিজ গ্রাম হাটনাইয়া যেতে হতো হেঁটে। ক্ষেতের আইল দিয়ে। নেত্রকোনাও যাওয়া যেত না। রাস্তা ছিল না। এখন রাস্তাঘাটসহ অনেক উন্নতি হয়েছে। সারা দেশেই এই উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতি হতো না, যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে না যেতেন।’
শনিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাকে দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যিনি প্রধান বিচারপতি হন, তিনি জীবনে চারবার শপথ গ্রহণ করেন। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে যিনি বিচারপতি হন তিনি দুবার এবং আপিল বিভাগ থেকে যিনি বিচারপতি হন তিনি তিনবার শপথ নেন। ২০০৯ সালে বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। এটাই হচ্ছে বিচারকের প্রথম কর্তব্য এবং একমাত্র দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান ব্যবস্থা অনুযায়ী রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ রয়েছে। একটি নির্বাহী বিভাগ, একটি আইন বিভাগ, আরেকটি বিচার বিভাগ। নির্বাহী বিভাগের প্রধান হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইন বিভাগের প্রধান হচ্ছেন মাননীয় স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান হচ্ছেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি। এই তিনটি বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি পায়া। আর ওই তিনটি পায়ার ওপর দাঁড়িয়ে আছে রাষ্ট্র। তিনটি অঙ্গের একটি খারাপ হলে রাষ্ট্র ভালোভাবে চলতে পারে না। সেজন্য তিনটি অঙ্গের কর্ণধার যারা হবেন তাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনে সবার কাছে দোয়া চাই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাজ্জাদুল হাসান এমপি বলেন, ‘আজ মোহনগঞ্জবাসী ও আমার পরিবারের জন্য আনন্দের দিন। নেত্রকোনার বরেণ্য ব্যক্তিদের তালিকায় একজন কৃতী সন্তান ওবায়দুল হাসানের নাম যুক্ত হলো। যিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি এবং আমার বড় ভাই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র লতিফুর রহমান রতন। আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবীর, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, জেলা জর্জ কোর্টের জিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান মঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মশিউর রহমান এবং আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার সাইফুল রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে বরণ করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক লতিফুর রহমান রতন। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন তাহমিনা ছাত্তার।