Logo
Logo
×

আইন-বিচার

আইডিয়ালের সেই মুশতাককে আগাম জামিন, ছাত্রীকে সেফহোমে পাঠালেন হাইকোর্ট

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম

আইডিয়ালের সেই মুশতাককে আগাম জামিন, ছাত্রীকে সেফহোমে পাঠালেন হাইকোর্ট

ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আইডিয়ালের ছাত্রীকে সেফহোমে (নিরাপদ হেফাজত) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালত বলেছেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে থাকবে।

এর আগে আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ, আইডিয়ালের ছাত্রী ও তার বাবার বক্তব্য শোনেন হাইকোর্ট।

আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আসামির পক্ষে শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

আরও পড়ুন: আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এর আগে গতকাল (১৬ আগস্ট) মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসি অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। 

কিছু দিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম